ধমনীর পথে ভাসে ভাটিয়ালী—
নিশুতি রাতের গাঙ্গে,
ঘুম আসে, ঘুম ভাঙে—
হৃত্পিণ্ডের  অলিন্দে ওড়ে পাল,
বয়ে যাওয়া ভুল বাতাসের সাথে।
উড়ান ভরে অহরহ,
বয়ে যায় বেঁচে যাওয়া পথ—
বেঁচে যাওয়া ঠিকানার দিকে অদৃশ্যে!
যদি খুঁজে পাওয়া যায় গভীরে—
হিমশৈল অভিঘাতশূন্য চোরা পথ,
তবে ঠিক পৌঁছবো একদিন,
তুঙ্গ বৃহস্পতির ঘরে।
কালো আকাশের নক্ষত্র শয্যার,
অন্তহীন ছায়াপথ ধরে।
মাঝি তুমি বন্ধ কোরো না গান!
বেয়ে চলো ভাটি উজান,
যদি কখনো আসে দুকূল ভাঙ্গা বান—
তবু ধ’রে রেখো হাল,
কোনো ঘাটে বেঁধো না তরী,
ধেয়ে চলো, বেয়ে চলো,সাগর সঙ্গমে—
অনিশ্চিত থেকে ভেসেছ যেমন করে!
তেমনি বেঁচে যেতে চাই,
বাঁধা হীন থেকে যেতে চাই,
নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে চাই,কৃত্রিম বাসরঘরে!
মিলবো না,মেলাবো না কোথাও—
অন্তিম কামনার কোনো অভিসারে!
ভাঙতে দেবো না আর ঝড়ের কাছে,
আদরের পর্ণকুটীর, দুর্বল স্খলনে।  
ভাটিয়ালী আভোগের টানে শেষবার,
তবু যদি কখনো দেখো আমায়,
তবে জেনো পৌঁছে গেছি,
অনন্ত মৃত্যুর কোলে—
মোহনার ওই পারে,সাগর সঙ্গমে,
নিকুম্ভিলার শেষ পূজার ঘরে।