আমার.....
ভিক্ষুক শরীরের ছায়ায় চলছে সাপেদের সঙ্গম—
তোবড়ানো বাটিতে জমছে বাবুদের অবজ্ঞা,
তবু তা দিয়েই প্রতিদিন রাঙাতে হবে ঠোঁট,
সন্ধ্যার বায়োস্কোপ প্রতিদিন দিতে হবে খুলে,
তারপর রাতের পাকস্থলীতে শুধু নর্দমা জল,
তবু রেসের মাঠের মতো নিশ্চুপ শুয়ে থাকা,
হাজার অশ্বের গাঁজা ওঠা মুখের পায়ের তলায়,
সিলিং ফ্যানের সামাজিক বাতাসে আতরের গন্ধ,
পরিপাটী বিছানায় গর্জে ওঠে কালোমেঘ বজ্রাঘাত।।
আমি....
এখন শুধু উপকরন মাত্র, কাঁচের গ্লাসের মতো,
ফুলদানীর গন্ধহীন জীবন্ত প্লাস্টিক ফুলের মতো,
ভেজা বালিশের চুপসানো মৃত তুলোর মতো,
অকারণ বেজে যাওয়া বোধহীন নগ্ন গানের মতো,
মোচড়ানো শেষ রাতের মখমলি চাদরের মতো।
তবু প্রতিদিন সকালে আমি জাগি,সূর্য ওঠা দেখি,
আমার এই উপকরণ শরীর, বন্ধক রেখেছে সমাজ,
সুদ গুণে চলি কত কি!হাসি,কান্না, চোখের জল,
আমি কাজ করি, সামাজিক কাজ!বাঁচে পরিবার,
তাইতো আমাদের নামে তৈরি হয়েছে,লে...ন!
নাম পেয়ে গেছে;কোনো কালে আলো না থাকা গলিও!
আর কথা বলা যাবে না, সময় নেই, সন্ধ্যা নেমেছে,
কত কাজ বাকি! আলমারীতে গ্লাস সাজানো,
ফুলদানীতে ফুল, আতর ছড়ানো, সব এলোমেলো গোছানো,
তারপর সব শেষে নিজেকে গোছানোর কাজ!
এবার খুলে দিতে হবে বায়োস্কোপের ঢাকনা,
আমার উপকরণ শরীরে, ভিক্ষুক শরীরের, ছায়ায়,
চলবে যে এখন,নির্বিষ বিষধর সাপেদের সঙ্গম!
আমাকে যে বাঁচাতে হবে অনেককে, আর পরীকেও—
সে যে তার দিদির পাঠানো টাকায়—
একটা নতুন জামা কিনবে!!!!