তারপর শেষবেলা এসে দাঁড়িয়ে পড়ল দ্বারে-
অন্য কোনো এক পথে একা যেতে হবে এবার;
সময় কেড়ে নিয়ে যেতে চায় সময়ের সবক্ষণ;  
ঝড় বইছে-
ঝড় বইছে স্নায়ুতন্ত্রের সকল ডালপালায়;
শরীর জমিন বানভাসি, রক্তের অস্থির কান্নায়-    
তবু হাসি মুখ, সে এক সাবেকি হাসি-
বিষাদ মেশানো হাসি,কান্না মাখানো হাসি-
নিরাভরণ হাসি, কত কি কষ্ট লুকানো হাসি!
সে হাসি দেখতে দেখতে,
হাতের ভিতর হাত সরে যেতে থাকে অজান্তে-
সময়ের প্রতিপল ঠিকুজী রেখেছে লিখে;
অদৃশ্য অশরীরী দূত শেষক্ষণ হয়ে মূর্ত হয়ে ওঠে
মৃত্যুর মতো অনাদি বিচ্ছেদ তরবারি হানে নির্দয় ঢঙে!
এরপরও, এরপরও-
আমরা জীবিত হয়ে হয়তো থাকবো কোথাও;
এই পৃথিবীর বুকে-
তবু ছোঁবো না কখনো দুজনায় ;
তবু দৃষ্টির কোনো আলো পৌঁছবে না দুজনার কাছে;
চেতনার অনুভবে কাতরে যেতে হবে;
শুধু দিনের আলোয় বসে রাতের সময় গুণে,
আর রাতের আঁধারে বসে-
চেয়ে থাকা দিনের আলোর পানে!
হাতের ভিতর হতে হাত যাবে সরে;
শরীর হতে শরীর যাবে সরে;
দৃষ্টি হতে দৃষ্টি যাবে সরে;
ফিকে হয়ে ওঠা অনুভবে মলিন হবে ছবি;
বিস্মৃত হতে হতে একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো-
শুধু তুমি,তুমি হয়ে আমি,আমি হয়ে।
তোমায় চিনে নেওয়া হবে না কোনো কালে আর;
তুমিও চিনে নিতে পারবে না কোনো  বাঁকে;
এই জীবনের পথে কিংবা অন্য কোনো জীবন পথে-
কোনো সাক্ষী আমাদের যাবে না বলে;
কোনো এক ঝড়ের সমুদ্রে একসাথে ভেসেছিলাম দুজনায়।