নির্জন পার্কের রঙ্গিন স্মৃতি মাখা
কংক্রিটের শূন্য বেঞ্চ, আর
ধুলোময় ক্লান্ত আমার পদস্খলন,
সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।
আমি বিচ্ছিন্ন এ সংসার থেকে।
আমার চারিপাশে ব্যস্ত শহরের
উন্মত্ব ব্যস্ততা আমায় স্পর্শ করে না।
স্পর্শ করে না আমার চারিপাশের
কোলাহল আর ক্লান্ত গাড়ির হর্ণ গুলো।
আমি স্তব্ধ হয়ে রই
নির্জন পার্কের শূন্য কংক্রিটের বেঞ্চের
রঙ্গিন স্মৃতি গুলো নিয়ে।
ব্যস্ততা ময় মানুষ গুলোর উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি
ঘুরে ফেরে চারিদিকে
ক্রোধান্নিত মানুষ গুলোর চোখের তাপ
শহরের উত্তাপ বাড়িয়ে তোলে।
না আমার দৃষ্টি তে উদ্ভ্রান্ততা নেই।
নেই ক্রোধের সামান্যতম উত্তাপ।
আমি নিষ্পলক চোখে শীতল দৃষ্টি নিয়ে
তাকিয়ে দেখি উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি ভরা মুখ
আর পুড়ে যাই
একজোড়া চোখের ক্রোধের উত্তাপে।
যে ক্রোধের বহ্নি অদৃশ্য, শিখাহীন।
তার দিকে তাকিয়ে আমার অন্তরের অন্তস্থলের
হাহাকার অবধি নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
ভালোবাশার উষ্ণ চুম্বন, ধর্ষিতা নারির আর্তচিৎকার,
রুগ্ন শিশু হাতে ক্রন্দন রত মাতার
করুন আকুতি,
হোটেলের নির্জন কক্ষের
প্রেম নিবেদন রত কপোত কপোতির
কেপে কেপে ওঠা শংকিত চোখ,
রেলস্টেশনের ধারে
গান গেয়ে পথ চলা অন্ধ ভিক্ষুক,
গর্ভের মাঝে বেড়ে ওঠা
স্বীকৃতী হীন সন্তান নিয়ে
অসহায় প্রেমিকার গভীর দুশ্চিন্তা,
কিংবা ফুল হাতে রমনা পার্কের
ছোট্ট হাশি মাখা মুখের কোমল আবেদন,
ফুল নেবেন স্যার ?
কোন কিছুই আমায় স্পর্শ করে না আর,
আমি সকল স্পর্শের উর্ধে।
আমার অনুভুতির বাপ্তি আজ সীমাবদ্ধ
একজোড়া ক্রোধান্নিত চোখের
চাহনির উত্তাপে।