মনোহর অপরুপা তুমি, বিচিত্র তোমার খেয়াল
ষড় ঋতুতে সাজাও তুমি বাংলার একেক কাল,


ভয়ঙ্কর রুদ্র মূর্তির আকারে, নির্মম গ্রীস্মের আগমন,
খাল বিল সব খরায় শুকায়, কারবালা যেন দেখে এ নয়ন।
হঠাৎ করে ধেয়ে আসে কালবোশেখী ঝড়,
কালো মেঘের গর্জনে সব কাঁপে থরথর।

শষ্যের মোহনীয় সবুজ সরসতায়,
মাঠ ঘাট চারিধার একাকার হয়ে যায়,
অবিরাম নৃত্য চলে চটুল বারিধারার,
মরুভূমের অবসানে আগমন বরষার।


শুভ্র ঝলমলে সোনালী আকাশ,
আউসের গন্ধ ভেদিয়া আসে কামিনীর সুবাস,
শাপলা, শালুক, পদ্ম রুপের জৌলুস ছেড়ে হাসে,
বর্ষার অভিষেক শেষে শরৎ রানি আসে।


ফিনফিনে কুয়াশার শাড়ি গায়ে হেমন্তের শুভাগমন,
হীম স্পর্শে কৃষকের মুখে ফসল কাটার গান,
শীতের আমেজ মাখা দখিনা সমীরণ,
সুখ স্বপ্নে বিভোর রয় কিষাণী কিষাণ।


কুয়াশার ঘন চাদর মুড়ে শীত নন্দিনী আসে,
যৌবন যেন লোপ পায় সবার শীতল পরশে,
প্রভাতে ঘাসের ডগায় শিশির করে টলমল,
খেজুরের মিষ্টি রসের তরে শিশুদের কত কোলাহল।


শীতের প্রকোপ শেষে ফিরে প্রাণের স্পন্দন
ডাকে কোকিল কুহুতানে, ফুলে ফুলে সাজে বন,
রুপের চমক অঙ্গে ঢেলে পায় নব যৌবন,
ঋতুরাজ এসছে ধরায়, তাই কী এই আলোড়ন?


ষড়ঋতুতে ষড়বর্ণে তোমার চোখ ধাধানো আয়োজন,
বিচিত্র প্রকৃতি তুমি সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন।


                                         ০১/১২/১৯৯৫ খ্রিঃ