রচনা কাল – ২৩-৪-১৯৯৪


আমার হৃদয়ের গভীরে
একটা বীজ রোপণ করেছিলাম সেই কবে!
চারাও বেরুলো একটা
কিন্তু ভীষণ একরোখা সেই চারা।
তার কোন শাখা প্রশাখা নেই
শুধুমাত্র কান্ডই বাড়তে থাকে দিনে দিনে।
এ বৃক্ষের প্রতি অনেকের দৃষ্টি ছিল
অথচ কোথায় কি যে ঘটে গেল!
বৃক্ষটি তার বাঁচার স্বপক্ষে
পরিমিত খাবার এমন কি
উপযুক্ত দিক দর্শনও পায়নি।
সে কারণে একেবারেই স্বার্থপর হয়ে গেছে,
সযত্নে রোপণকৃত এ বৃক্ষ আর বাড়ছে না মোটেও।
নিজেরই যখন এ দৈন্য দশা
তখন কিভাবে সে অপরকে
শাখা প্রশাখা বিস্তার করে শান্তির পরশ দেবে?
এ বৃক্ষের কাছে আমার অনেক চাওয়া ছিল।
নিজেই যখন কিছু পেলাম না
অন্যরা কেন খোঁজ নেবে
এ হতশ্রী ক্ষয়ে যাওয়া কান্ডের।
কি প্রয়োজন পড়েছে তাদের
নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর!
যতই দিন গড়াচ্ছে ততই ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং
সীমিত গন্ডিতে থমকে দাঁড়াতে
অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান!