৩২৯ বাসের নাম্বার, চলে বিশ মিনিট অন্তর অন্তর  
এনফিএলড পাল্মারস গ্রীন হয়ে ট্রাফুলগার স্কয়ার  ।  
গভীর রাতে ছাইবার ছারফে ঘুমকে ফাঁকি দিয়ে ভোরের পাখী সাঁজা  
দাঁত মাজা, দাড়ি সেইব, না আজ থাক কাল হবে এইসব ।    
অর্ধেক স্যান্ডউইচ হাতে, চায়ের কাপে দুটি চুমুক  
কোথায় মোবাইল ফোন চার্জ হয়েছে কি        
ওয়েস্টর কার্ড, চাবি , চুইংগাম, চকলেট বার  
একটা আপেল হাতে নিয়ে ছুটি ঝড়ের বেগে।    
হিম ব্লিজার্ড, ব্রলি ছাতা আছে কি সাথে নিশ্চিত হই    
দুটি বাস একসাথে এসে একসাথে চলে যায়, আমি চেয়ে রই ।
ক্ষণিক অপেক্ষায় আরেকটি বাস, ঝট পট উঠে পড়ি  
রাস আওয়ার বহু ভিড়, কেউ বসে, কেউ দাড়িয়ে, কেউ ঝুলন্ত  
কারো হাতে কিণ্ডল, কেউ পড়ে খবরের কাগজ
কারো হাতে বই, কারো মুখে কথা নেই নিস্তব্ধ নিসছুপ ।    
চোখে পড়ে ফেলে রাখা নিউজ পেপার    
ক্রস ওয়ার্ড শেষের পাতায় ।  
ভিন দেশী এক শেতাঙ্গির এত কাছে নিঃশ্বাসের গন্ধ
শুধুই মোর স্বপ্নের কাছাকাছি  
আহা সেই পুরানো স্মৃতির গোপন রোমন্থন ।  
নীচ তলায় একটি মেয়ে
ব্লন্ড মেয়েদের ভিড়ে রেশমি কাল চোল
কতবার চোখের উপর চোখ রাখে ।    
প্রতি পাঁচ দিন একিই সময় একিই বাসে দুটি বৎসর  
নামার সময় শুধু একসকুইস মি, সরি এবং থেংস বলে
দ্রুত পায়ে হেঠে একা একা চলে যায়।    
মুজাহিদ চৌধুরী , পাল্মারস গ্রীন , লন্ডন , ৭।১২।২০১২ ।