সে রাতে ঘুম ছিলো না চোখে
দু'চোখ জুড়ে ছিলো অশ্রু ঝড়ার প্রতিযোগিতা,
চিৎকার করে বলতে না পরার অপারগতা
নিঃশব্দে দাউদাউ করে জ্বলছিলো হৃদাগ্নি।


সে রাতে বোধহয় বকুল গাছটার মনও বিষন্ন ছিলো,
তাই তো আঙ্গিনা জুড়ে সবুজ পাতা আর শরৎয়ের খবর আনা সদ্য ফুটন্ত বকুলের লুটোপুটি।  
ভ্যাপসা গরমে ঝিঝি পোকা বিরহের গান বেঁধে ছিলো তার গলায়,
সে কি চিৎকার তার!
আমিও যদি ওরকমটা পারতাম।  


স্বামী হারা ভার্যার মতো কাঁদছিল ছাই রঙা বিড়ালটা
তাকে দেখতেই বোধহয় ছুটে এসেছিল দূরের মেঘবতীরা
স্বান্তনা না দিয়ে তারাও শুরু করেছিল অবিরাম বর্ষণ।


রাতের যবনিকাপাতের পর,
রাঙা সকালে কলি হয়ে উঁকি দেয়া বকুলের দিকে তাকিয়ে ভেবেছিলাম রাতের ফুটন্ত বকুলের ঝরে পড়ার পুনরাবৃত্তির সম্পর্কে।


                _'সে রাতে'
            মোঃ লিয়াকত হোসেন
            উনত্রিশ/বারো/তেইশ