খুব বেশি যে তোমাকে মনে  পরে
তা না।
তবে একটা সময় খুব, খুব
মনে পরত তোমাকে।
কত নিশি, কাক ডাকা ভোর,
ক্লান্ত দুপুর, আর মিলিয়ে যাওয়া সন্ধ্যায়
চমকে উঠেছি তোমার কথা ভেবে!
আঁতকে উঠে ডুকরে-ডুকরে
মুখ লুকিয়ে নিঃশব্দে কেঁদেছি!
কত বৃষ্টির ফোটায়
কান পেতে শুনতে চেয়েছি
তোমার হাসি!
কত বজ্রপাত কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে
আমার নিঃসংগতা, তোমার বিরহে।
তবুও দেখেছি স্বপ্ন
স্মৃতিকে করেছি অকারণে জাগ্রত।
কোন এক অদৃশ্য মোহ
তোমার স্মৃতিকে আমার ভিতর
বার-বার করেছে আন্দোলিত।
গ্রীষ্মের উত্তাপ,  শীতের কুয়াশা
রাতের ঘন অন্ধকার
কোনকিছুই পারেনি আমাকে
মুখ ফেরা তে।
বার-বার ধনুকের তীরের মত
তোমার স্মৃতি আমাকে করেছে
ক্ষত-বিক্ষত
লাঞ্ছিত করেছে আমার ব্যক্তিত্বকে।
তারপর আস্তে -আস্তে,
একদিন দুইদিন করে
স্মৃতিরাও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যায়।
কোন এক অলস দুপুরে
কোন এক ভুল উপমায়
কোন এক অপ্রয়োজনীয়
আয়নায় ভেসে উঠে  তোমার মুখ
স্মৃতিরা ডুকরে-ডুকরে কেঁদে উঠে
ভুলে যাবার যন্ত্রণায়।
আমি নিঃশব্দে পাশ কাটিয়ে যেতে চাই
কোন এক ঘোর ভেবে
নিজেকে করতে চাই সবল,
কিন্তু, ততক্ষণে স্মৃতির শিকড়
আঁকড়ে ধরে আমাকে।
আর আমি
এনিধারুন বন্দিশালা থেকে
মুক্তি প্রার্থনায় চিৎকার করি,
আমায় মুক্তি দাও, আমায় মুক্তি দাও।
সবকিছু ভুলে গিয়ে
আবার চলি সামনে,
দায়িত্ব আর ব্যস্ততায়
নিজেকে করে রাখি যন্ত্র মত
অসাড়।
ভাবি এইসব স্মৃতি অনর্থক
থামিয়ে দেওয়া পথ
হতাশার বুনা এক জাল
স্রোতের ভাঙনে ফেলে আসা
কোন এক পথ।
তবুও,
মাঝে-মাঝে
খুব, খুব মনে পরে তোমাকে।
আর আমার, মুক্তিও মেলেনা....