সারাদিনে কর্ম শেষে আসল ছেলে বাড়ি,
দেখল বধুর মূখটা মলিন আম্মু করছে আড়ি।
মনটা হল খারাপ ভীষণ, বসল গিয়ে খাটে,
বিষ ব্যথারা ক্লান্ত দেহ কেমন যেন চাটে।
হয়নি ধোয়া হাত মূখও তার করল বধু শুরু!
শুনার আগেই বুকটা কেমন করছে ভীরু ভীরু,
চুপসে বসে নিম্নে চেয়ে পাতলো দু.টি কান।
গোলার জলের বধুর মূখে সূরমা নদীর বান,
আজকে বল আমি বাড়ির কাজের মেয়ে নাকি!
শুনতে হবে তোমার মায়ের সকল টুকিটাকি,
একটু এদিক ওদিক হলে বলবে আবার যা.তা?
বসেই তিনি খায় যে আমার চৌদ্দমগোষ্টীর মাথা।
চাইনা আমি অমন করে করতে তোমার ঘর,
হয়তো রাখ বউয়ের মতো নয়তো কর পর।
কথার সাথে চোখের জলে ভাসছে কপাল তাঁর,
রূপমোহীনির সজল নয়ন সহ্য করা ভার।
আম্মু তখন বউয়ের কথায় নতুন করে জ্বলে,
মূখের গালি মেঘনা নদীর স্রোতের মতন চলে।
হয়নি দু.দিন বউ এসেছে তর্ক করে রোজ,
কোন আগুনে ফেললি আমায়,সুখ কোথাওখোজ।
ডায়ণী এনে আমার ঘরে, রাখলি কেমন করে,
অশান্তিটা রয়ে যাবে যাই যদিও মরে।
রাখিস মনে আমার মত মরবি যে তুই জ্বলে,
লোকসমাজে তোর মাথাটা দেখিস রবে তলে।
ছলছলে দুনয়ন মায়ের পড়ল বলে জল,
ছেলে হল দুকান ভাড়ি, হারায় মনের বল।
কাউকে কিছু বলার মত পায়না ভাষা খুজে,
কোন বাহানায় যুদ্ধ থামায় তার আসেনা বুঝে।
সকল নারীর কমন দুদোষ, পড়লো হঠাত মনে,
সব মেয়েরা বউ হয়ে কয় সব শাশুড়ির দোষ,
এরাই আবার শাশুড়ি হয়ে কয় বউ দোষী তাই রোষ।
রচনা কালঃ২৫.৪২০১৭
বনগ্রাম উত্তর।