বহমান কোন নদীর তটে
লজ্জার  চাদরে গা ঢাকা
দাড়িয়ে থাকা কাল্পনিক রাজকন্যা
তুমিই ছিলে বনলতা।


তোমার পদযুগল লক্তলাল
অঙ্কিত ছিল আলতায়
কপালের কালো টিপ ছিল
ঘূর্ণয়মান পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল।


তোমার তিক্ষ্ন দৃষ্টি
তিরন্দাজের ন্যায় চোখে চোখে
তোমার সেরেব্রাম সফল
আমার চোখের ভাষা বুঝতে।


প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা
পরাজিত তোমার কাছে
দুঃসাহসিক নাবিকও ডরে কুপোকাত
তোমার স্রোতে ভেলা ভাসাতে।


আমি  তুচ্ছ রাখাল সার্থক
তোমাকে জয় করতে
তুমি আমি হাটছি দুজন
শিশির সিক্ত দূর্বাঘাসে।


তোমার মেহেদি রাঙ্গা হাতে
আমার কড়া পড়া শক্ত  হাত    
ইটের ভাটায় সৃষ্ট হৃদয়
গলে পড়ছে  মমের ন্যায়।  


এক পুলকিত মুহূর্ত
যেন সর্গীয় সুধাপান
অশান্ত আত্না ঘুমিয়ে তৃপ্ত
ইফেসের  সাত ভাইয়ের মত


সহসা স্বপ্নদ্রষ্টা দেবীর প্রস্থানে
আমি বাস্তবতায় ফিরি
তুমি কল্পনার অপ্সরা রমনী
পার্থিব অস্তিত্বহীন এক সন্যাসিনী।