সাগর তীরের বালুকা বেলায় এঁকেছিনু যত রেখা
ঢেউ এসে আজ মুছে গেছে সব, পাবে না তাদের দেখা।
যদি সে রেখায় পড়ে থাকে ভুলে চোখের দু'ফোটা জল
নীরবে হারিয়ে সাগরের বুকে পায়নি গহীন তল।
সে রেখা আঁকায় হাত কেটে যদি দুফোটা রক্ত ঝরে
নীল সাগরের জলরাশি কভু লাল রঙ নাই ধরে।


তবু জেনে রেখো এসেছিনু হেথা খেলেছিনু তব সাথে
সুখ বুকে হেসো যদি মনে পড়ে জীবনের কোন রাতে।
হেঁটেছি দু'জনে খুব কাছাকাছি, হাতে হাত অজানায়  
পদতল মোর কেঁদেছে ব্যথায় তোমার তা জানা নাই।
নীরবে দু'জনে দেখেছিনু বসে তীরে তার বাতিঘর
আঁধারে হারানো নাবিকে কেমনে দেখিয়েছে বন্দর।


হয়তো দেখোনি মনের তরণী ছিল কি আঁধারে ঢাকা
তুমি বাতিঘর, তবু কোনোদিন হয়নি তোমার ডাকা।
ঝোড়ো হাওয়া আর উত্তাল ঢেউয়ে ভেসেছি নিরুদ্দেশে
মেঘ ফুঁড়ে চাঁদ কখনো কখনো ডেকেছে একটু হেসে।
গাঙ শালিকেরা শুনিয়েছে গান নেচে নেচে উড়ে উড়ে
শীতল হিমেল হাওয়া পেয়ে তবু হৃদয় গিয়েছে পুড়ে।


পেয়েছি কি আর পাইনি কি, হিসাবে আজ কি হবে?  
তুমি যা দিয়েছো সবটুকু তার এ হৃদয়ে আঁকা র'বে।
সব মুছে যায় শান্ত নীরবে, শুধু সাগরের ঢেউ
গর্জে কেন তীরে এসে ভাঙে কখনো বুঝে কি কেউ?