দিন শুধালো রাতকে ডেকে, কিসের এতো কান্না
কে নিয়েছে তোমার বুকের মানিক, হীরে, পান্না?


রাত বলে, দিন! তোমার আলোয় যত কিছুই ঘটে
আমার বুকের অন্ধকারে তার বেদনাই ফোটে।
দিনের আলোয় যে পাখিটা হারায় প্রাণের সাথী
একলা নীড়ে পথ চেয়ে সে কাঁদে সকল রাতি।
দিনের আলোয় ঘর ছেড়ে যায় যে জন দূরের দেশে
রাত্রে যে তার বধূ কাঁদে বিরহিণীর বেশে।
হেথায় হোথায় কোনো ক্রমে যদিও কাটায় দিন
বর্ষা, শীতে রাতের বেলায় কাঁদেই গৃহহীন।
শূন্য উদর, রাত্রি যাপন, কান্না ছাড়া আর
দীর্ঘ রাতের অন্ধকারে কিই বা আছে তার?
ভিখারিনীর শুকনো বুকে দুগ্ধ পানের সাধে
শীর্ণ-শিশু সারাটা রাত ক্ষুধায় ক্ষুধায় কাঁদে।
রুগ্ন শিশুর মা যে কাঁদে, কখন হবে ভোর?
নিকষ কালো আঁধার না হয় তার ছেলেটির চোর!


তোমার আলোয় কর্ম মাঝে যা রাখো সব ঢেকে
সেই স্মৃতিরাই রাত্রে জেগে কাঁদে থেকে থেকে।
দিনের বেলায় তোমার তাপে যে আকাশ যায় পুড়ে
কান্নাতে সে শিশির ঝরায় মাটির সবুজ জুড়ে।
এতো জনের কান্না শুনে আমিও কাঁদি সাথে
তাই তো তোমার সুনীল চক্ষু পরিষ্কার হয় রাতে।
তার বুকে যেই রাতের শেষে ভোরের রবি আসে
আলোর রশ্মি তাই তো এতো প্রখর হয়ে হাসে।