হঠাৎ যেদিন দেখবে আমি তোমার ঘরে নেই
বুঝবে সেদিন ছড়িয়ে আছি তোমার ভুবনেই।


দেখবে চেয়ে আকাশ পানে আমার মুখের হাসি
কান্না হয়ে বাদল ঝরি তোমার পায়ে আসি।
একলা যখন রইবে বসে তোমার বাতায়নে
উড়িয়ে যাবো চুলগুলি সব দক্ষিণ সমীরণে।
ফাগুন দিনের অলস দুপুর কাঁদায় যদি মনে
কোকিল হয়ে কাঁদবো জেনো তোমার কাছের বনে।
বনের পথে হাঁটতে যদি কাঁটায় জড়ায় শাড়ি
তোমায় দেখার জন্যে জেনো খেলছি আমি আড়ি।


খুঁজতে গিয়ে নাই যদি পাও শখের গোলাপখানি
হাসছি আমি সাজিয়ে জেনো ঘরের সে ফুলদানি।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে নাই যদি পাও চিনি
ভাঁড়ার-ঘরে খুঁজলে আমায় পাবে চিরদিনই।
কোন শাড়িটা পরবে ভেবে হারাবে যেই কুল
আলনাটাতে দেখবে আমি হাসছি শাড়ির ফুল।


অলস বলে বকবে ভেবে চাইবে যখন সোফায়
দেখবে আমি ব্যস্তবাগীশ নেই বসে আর সেথায়।
তখন তুমি অলস হয়ে রইবে সেথায় বসে
আমার ছোঁয়া যাবে তোমার হৃদয়-দেহ পশে।
আমার ফেরার সময় যখন চাইবে খিড়কি দ্বারে
দেখবে একটা পাখি সেথায় খুঁজছে যেন কারে।
খাটের পরে শুয়ে যেদিন দেখবে আমি নেই
বুঝবে সেদিন আমি আছি তোমার সারা মনেই।