কোন সে জন্মান্তরে, আধো ঘুম আধো জাগরণে
হে মোর কামাতুর প্রেয়সী, তোমারে দেখেছিনু স্বপনে|
বসেছিনু একাকী কুঞ্জবনে, নিস্তব্ধ জলাধির পাশে
প্রশান্ত নীলিমার বুকে এক পূর্ণ-চন্দ্র রহস্যে হাসে|
শরতের নির্মল সে আকাশে খন্ড বিখন্ড মেঘের আল্পনা
বসেছিনু বিহবল, আবেশিত, কতযুগ আনমনা|
হয়তো শুনেছিনু উৎকণ্ঠ, তোমার মৃদু পদচারণা
তবু তুমি আসোনি বুকে, বুকে নিয়ে প্রেয়সীর কামনা|
দিকভ্রান্ত স্থবির জারুল বনে, সাইবেরিয়ার তুষার স্তুপে
হিমালয়ের জমাট বরফে অচেতন বসেছিনু যুগান্তর চুপে|
তোমার তেপান্তরের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে
সহসা জাগাইলে মোরে হিল্লোলিত সমীরণ বেশে|
নিস্তরঙ্গ জলাধির বুকে তুলিলে ক্ষুদ্র ভীরু ঢেউ
কি উষ্ণতায় তুষার নদী হলো দেখিল না কেউ|
নিস্পলক দেখিনু, তুমি এলে ষোল কলায় পূর্ণ হয়ে
সুশোভিত প্রেয়সী মোর, সযতনে লালিত পিত্রালয়ে|
দৃষ্টি মোর স্থির-ধৃত তোমার লজ্জানত নীলাদ্রি-গালে
অজান্তে জড়ায়ে আঁকিনু এক চুম্বন তোমার প্রশস্ত ভালে|
কি এক উন্মাদনায় শুকিনু তোমার মাদক-তনু-গন্ধ
তনুর শিহরণে ক্ষণকাল ছিল মোর প্রাণ-শ্বাস বন্ধ|
হে মোর পূর্ণ-যৌবনা, কামাতুর প্রেয়সী, কাব্য কৌমুদী
তোমার পরশে হৃদয়ের উচ্ছাস বলো আজ কেমনে রুধি?


রচনাঃ ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬


## দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ "কাব্য কৌমুদী" বুকে পেলাম| তাই হৃদয়ের অনুভুতিটুকু প্রকাশ করলাম|