আমার হৃদয় পাথরে গড়া
করে গেলে অভিযোগ
বোঝো নাই তারে পাথর করেছে
কোন সে কঠিন রোগ।
পাথরের বুকে কি লেখা ছিল
দেখো নাই চোখ মেলে
নিষ্প্রাণ আমি ব্যথা বুঝি নাই,
বলে গিয়েছিলে ফেলে।
বোঝো নাই তুমি কি ব্যথায় কাঁদে
সেই পাথরের বুক
ঝর্ণায় তার নিজেরে ভাসায়ে
শুধু খুঁজেছিলে সুখ।
আজও ফিরে এসে আবার সেথায়
পাতো যদি তব কান
শুনে যাবে তার কুলু কুলু স্বরে
গেয়ে যায় কোন গান।
চোখ দু'টি খুলে যদি চেয়ে দেখো
সেই পাথরের বুকে
কি লেখা সেথায় অক্ষয় হয়ে
শ্বাস টানে ধুঁকে ধুঁকে।
শুধু শুনে যাবে, শুধু দেখে যাবে
সেখানে একটি নাম
আজও লেখা আছে, ধ্বনি ওঠে যার
নিশিদিন অবিরাম।
পাথর হয়েছি - সেই নাম খানি
নাই যেন কভু হয়
বালুতে লেখা নামের মতো
দমকা বাতাসে ক্ষয়।
ঝর্ণা হয়ে অবিরাম চলি
ধ্বনি করি কুলু কুল
সেই নাম যেন না মরে বদ্ধ
স্রোতহীন জল-তুল।
সেই নাম খানি প্রেয়সী তোমার,
সদা তার প্রেমে র’বো
জনম জনম ওই নাম বুকে
পাথর ও ঝর্ণা হ’বো।


রচনা: ১১ নভেম্বর, ২০১৬