পাত্রী চাই, পাত্রী চাই
সুযোগ্য এক পাত্র আছে, তার যোগ্য পাত্রী চাই।


পাতলা গঠন, সুঠামদেহী, লম্বা ও রূপ থাকা চাই
আল্ট্রা-মডার্ন মনের সাথে বাপের অঢেল টাকা চাই।
স্বামীর কাজে সাথী হবে মেয়ের এমন মনটি চাই
সকল কাজ সে করবে নিজে, বাসায় কাজের জনটি নাই।
দেবর, ননদ, ভাই, ভাতিজা, সবার সাথে ভাবটি চাই
বদ মেজাজি শ্বাশুড়ি, তাই নম্র-চলন স্বভাবটি চাই।
শ্বশুর মশায় গোবেচারা, নেশার ঘোরে সময় কাটাই  
ঘোরের মাঝে পিটায় কারে, তাই তো সেবার হৃদয়টি চাই।
এই পরিবার নিজের ভেবে আনতে হবে যখন যা চাই
চাকরি যদি নাই করে সে, আনবে সে সব বাপের টাকাই।
পাত্র হলো সোনার টুকরো, তবু কিন্তু দাবীটা নাই
সংসারে যা লাগে দেবে, বাড়ি গাড়ির চাবিটা চাই।


পাত্র যখন এই সুপুরুষ, রূপ-গুনে তার কী যায় আসে?
হৃদয় বড়, তাই তো পাড়ার সব মেয়েকেই ভালোবাসে।
বয়স দোষে একটু যা সে মদ, ভাঙ আর আর গাঁঞ্জা টানে
সুন্দরী এক বউয়ের গুণে ফিরবে ঠিকই ঘরের পানে।
পুরুষ মানুষ সদাই রবে বাইরে বাইরে হাজার কাজে
কখন কোথায় করবে কী সে, সেই খোঁজ কি বউয়ের সাজে?
অন্য ছেলের মতো সে পাশ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা ছাড়া তাই বলে সে তাদের মতো বেকার নয়!
এই তো সেদিন প্রমোশনে এম পি সা'বের হলো চেলা
এখন তারে রাখলে জেলে পুলিশ বাবুও বুঝবে ঠেলা।
সবাই তারে এই শহরে এক কথাতেই মান্যি করে
নইলে কি আর মাসে মাসে টাকা দিতো পকেট ভরে?
গায়ের রং যা একটু কালো, নাহয় হলো একটু বেটে
কে বোঝে আর টেরা চোখটা চললে চোখে চশমা এঁটে?
পরিবারের সবাই কালো, তাই তো ফর্সা পাত্রী চাই
বর্ণনা-সই পাত্রী পেলে অন্য কোনো দাবীই নাই।


রচনা: ২০ অক্টোবর, ২০১৬