হৃদয়ে আমার নীরব বেদনা গুমরে কাঁদে নিশিদিন
তোমারে হৃদয় সবটুকু দিয়ে হয়েছি আমি হৃদয়হীন।


যতবার তুমি হেসেছিলে এসে, সাথে এনেছিলে সখীরে
বোঝনিকো তুমি আমার হৃদয়। হৃদয়ের প্রিয়া ও কিরে?
তোমার নয়নে চেয়েছি যখনই, নয়ন করেছো নীচু
সখীরে সদাই সামনে এগিয়ে, নিজেরে রেখেছো পিছু।


যতটুকু আমি হেসেছি গেয়েছি, তা ছিল তোমার তরে
তার সব আমি সখীরে দিয়েছি, বুঝিলে কেমন ক’রে।


একদিন তাই নিয়েছো বিদায় এ জীবন থেকে নীরবে
বোঝোনি তুমি অন্যের হলে আমার জীবনে কি রবে।
চাতক-হৃদয়ে যখন শুধুই তোমার প্রেমের পিপাসা
কেমনে বলো মিটাই তখন তোমার সখীর প্রেমাশা?


আমার হৃদয়ের অক্ষমতাকে করিলেনা তাই ক্ষমা
কোনোদিন তুমি চাওনি জানিতে হৃদয়ে কি ছিল জমা।
আঁখি-শূল হেনে শুধু বলেছিলে মোরে হৃদয়হীন-পাষান
বোঝোনি সেদিন মারিলে আবার, আগে মরেছিল যে প্রাণ।


বাতায়নে বসি’ সোনালী আভার অস্তরাগে চেয়ে
হৃদয়ের কাছে প্রশ্ন রাখো ওগো ও সোনার মেয়ে
যা কিছু বুঝিল অনন্তকাল, সত্যি তুমি তা বোঝোনি
নাকি সেই দিন গন্ধবিহীন নাফোটা এ ফুলে খোঁজোনি?


আমি শুধু জানি, জনম জনম যদি এ ধরায় আসি
বারবার যেন হৃদয় হারাই তোমারেই ভালোবাসি’।


রচনা: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬