হবুচন্দ্র রাজা বললেন গবুচন্দ্রে ডেকে
রাজ্যে যত কবি আছে খুঁজুন তো আজ থেকে।
গবু বলে, রাজার দেখি কাব্যে হলো ঝোক
কবির খোঁজে রাজ্য জুড়ে ঘোষণাটা হোক।


কবিরা সব ভাবে শুনে না জানি কি হয়
রাজার মনে একটা কিছু আছে তো নিশ্চয়!
ভালো এখন চুপটি থেকে রাজার রূপটি দেখা
কদিন হঠাত বন্ধ হলো সবার কাব্য লেখা।


গবু ভাবে যে করে হোক কবি একজন চায়
নইলে বুঝি রাজার কাজে নিজ-গর্দান যায়।
অবশেষে মিলল সে এক অতি বৃদ্ধ কবি
রাজদরবারে আনা হলো, যেন নুব্জ ছবি।
শুভ্র চুলের মস্ত টাকে আনত এক মাথা
কবির তরে রাজদরবারে হলো আসন পাতা।


গবু বলে, খুঁজে পেলাম, কবি দুখীরাম
রাজা বলেন, শোনায় যেন বিদ্রোহী ইসলাম?
যাই হোক তা, শোনাও দেখি তোমার কবিতা
শিরোনামটা বললে আগে, বুঝব সবই তা।
কয় দুখীরাম অতি কষ্টে, কবিতার নাম 'বিরহ'
রাজা বলেন, শোনায় যেন কেমন তা 'বিদ্রোহ'!


রাজার মতই রাজ্য সভা বলল উচ্চ স্বরে
সুখের রাজ্যে এ বিদ্রোহ ঘটলো কেমন করে?
যে করে হোক এ বিদ্রোহ করতে হবে দমন
নইলে তাতে সুর মিলাবে মূর্খ্য কবিগণ।


রাজা বলেন, কবিকে তাই চড়াও তবে শূলে
কবিরা সব প্রেম ব্যতীত বিদ্রোহ যাক ভুলে।
বিরহী-কবির অন্তর্ধান - বিদ্রোহ হলো বিদায়
হবুর রাজ্য পূর্ন এখন প্রেমের কবিতায়।