পটভূমি:
নির্ঘুম, দুঃসহ, দীর্ঘ রজনী
বিছানার আঘাতে জর্জরিত তনুর দুপাশ
মস্তিষ্কের মৌচাকে বিক্ষিপ্ত ভাবনার বিষ বিক্ষরণ
হঠাত জন্ম নিল একটি বিন্দু এক অন্তহীন শূন্যে,
অসংখ্য শব্দের বিচ্ছুরণ সে বিন্দু থেকে,
আবার ঘনীভূত হয় সে বিন্দুতে ফিরে –
অবিরত শব্দ, বাক্য ও ছন্দের সম্প্রসারণ ও সংকোচন -
কি অস্বস্থি মস্তিস্কের প্রসব বেদনায়।
আমি:
হচ্ছে কি? এটা হচ্ছে কি?
বল তো তোমার ইচ্ছে কি?
হচ্ছে আমার কষ্ট
কি চাও বলো স্পষ্ট!
মন:
উঠে পড়, হাতে নাও কলম খাতা
চোখে মুখে পানি দাও, ঠান্ডা কর মাথা
ধীরে সুস্থে লিখে নাও আমি যা যা বলি
আজ রাত্রি হোক তোমার ঘুমের জলাঞ্জলি।
আমি:
এতো দেখি আবার সেই ছেড়া, কাটা ছন্দ
দোহাই তোমার পাগলামিটা কর এখন বন্ধ।
লিখেছিত এই ছাই বহু রাত্রি দিনে
রেখে রেখে ফেলেছি তো শেষে ডাস্টবিনে।
মন:
এখনো বুঝিসনি, এ তোর মানসিক রোগ?
কপালে তোর আছে দুর্ভোগ
এ রোগ যার হয়
আজীবন হয়না নিরাময়।
আমি:
এ রোগের ব্যথা যে আর সহেনা এ প্রাণে
এ রোগ কি শেষ হবে আমার অন্তর্ধানে?
মন:
এ রোগ রয় এ ধরায়,
বংশপরস্পরায়।
মনে পড়ে তোর বাবার বিষাদ সিন্ধু,
আর নিমাই সন্যাসীর গান?
সে তো এই রোগেরই প্রমান।
দেখিসনি তোর ছোট মেয়ে
খাতা খুলে জানালায় দুরে থাকে চেয়ে?
বাংলা ভাষায় লেখার অক্ষমতায়
ইংলিশে কবিতা লেখে সে তার খাতায়?
ভাষা থেকে ভাষায় পলায়ন
এ রোগ ধরে সব ভাষার মন।
এ রোগ কবির রোগ
আরোগ্যহীন, বংশপরস্পরায়, আজীবনের দুর্ভোগ।
পার্থ, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬