ক্লান্ত, শ্রান্ত, দীনের নবীজি যুদ্ধের ময়দানে
গাছের ছাঁয়ার শীতলতা তাঁর নয়নে তন্দ্রা আনে।
তরবারি তাঁর ঝুলছে সেথায় গাছের একটা ডালে
শত্রু-সেনা এসে সেথা তা হাতে নেয় হেন কালে।
হঠাৎ নবীজির তন্দ্রা ভাঙে, দেখে তাঁর সম্মুখে
শত্রু-সেনা দন্ডায়মান, আর তরবারি তাঁর বুকে।
বলে সৈন্য, আজকে তোমায় বলো কে করে রক্ষা?
তরবারি ঘাতে এখনি তোমার প্রাণ যাবে চির অক্কা।


সাহসী নবী, দ্বীনের যোদ্ধা, বলে বলিষ্ঠ স্বরে
দেখো তবে আজ আল্লাহ কেমনে দাসেরে রক্ষা করে।
স্তম্ভিত সেনা, কম্পিত হাত, কী করে কাটে সে শির?
ভয়ে তরবারি ভূমিতে লুটায় দেখে সে নির্ভীক-বীর।
নবীজি তখন হাতে তুলে নেয় ভূমি থেকে তরবারি
দৃপ্ত কন্ঠে শুধায় তারে, আমি তো এখন পারি
তোমার মাথাটি আলাদা করতে তোমার ও দেহ থেকে
নিজেরে রক্ষা করবে তুমি, এখন আর কারে ডেকে?


ভীত কম্পিত শত্রু-সেনা নবীর চরণে লুটায়
তুমি যদি মোরে ক্ষমা নাই করো, এই মাথা নাহি উঠাই।
নবীজি বলে, আল্লার নামে তোমারে দিলাম ক্ষমা।
সৈন্য বলে, আমার এ জীবন তোমার তরে জমা
রক্ষা করতে তোমারই প্রাণ, যতদিন থাকি ভবে -
সে শত্রু হলো নবীজির সাথী, ইতিহাস জানে সবে।


আমরাও যদি নবীজির মতো শত্রুরে করি ক্ষমা
নবীর সাফায়াত থাকবে তবে আমাদের তরে জমা।



রচনা: পার্থ, ৬ এপ্রিল ২০১৬


*** নবীজির দয়া, ধৈর্য্য এবং ক্ষমার উপর গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় আজকের শেষ নিবেদন 'নবীজির ক্ষমা'|