গরীবের ঘোড়া রোগ
এপ্রিল ১, ২০১৬


আছে সে এক আজব দেশ, নয়তো শুনি ধনী|
কোষাগারে আছে তবু অঢেল মুক্তা, মনি|
দেশটির নাকি নেইকো রাজা, আছে রানীর কুমার
নম্বরকে খম্বর করে মাইনে পায় বেশুমার|
নম্বরকে খম্বর করা কাজটা ডিজিটাল
জানলে সেটা বদলানো যায় কোষাগারের হাল|
দেশটাতে হয় মাঝে মাঝে টাকার কেলেংকারী
কত লোক যে হারায় টাকা, করে আহাজারী|
নম্বরকে খম্বর করা আছেন যত বাবু
অল্প টাকায় পেট ভরেনা, যেন জাও ও সাবু|
দেশ বিদেশে ব্যাঙ্কে ওদের নম্বর শুধু বাড়ে
ওসব কথা বললে খাড়া জনগনের ঘাড়ে|
ওদের কাছে টাকা মানে শুধুই ছাপার কাগজ
চাইবে যত পাইবে তত, ওদের আছে মগজ|
চাইলে ওরা নিতেই পারে কোটি কয়েক হাজার
ক’টা টাকা গেলেই কি আর শুন্য কোষাগার?
এমনি ভাবে চলছিল তো, তাইত চলা উচিত
দেশের মানুষ ভাববে কেন দেশের হিতাহিত?
কিন্তু হটাত কারা যেন চাইল বড় নম্বর
কোষাগারের রক্ষকেরা জানিয়ে দিল খম্বর|
টাকাগুলো রাতারাতি কোথায় দিল হাটা
যদিও ছিল কোষাগারের তালাগুলো  আটা|
কোষাগারের রক্ষক বাবু বেড়ান বিদেশ ঘুরে  
কি আর উনি করবেন যদি টাকারা যায় উড়ে!
উড়ার খবর বিদেশ থেকে আসলো দেশে যখন
রক্ষক বাবু ইস্তফাতে হলেন মহত জন|
অল্পকিছু খম্বর জানা এক সে চুনো পুটি
করবে নাকি টাকার খবর - বাবুরা তো হেসেই কুটি কুটি|
টাকা আসবে, টাকা যাবে, তুইরে বেটা কে
টাকা কোথায় গেছে খুঁজে আনবি সেটা কে?
জাহাজের তোর্ খবর কেন, আদার ব্যাপারী?
শুনলে কথা পানের সাথে খা’বি সুপারী|
নইলে জানিস আনব ডেকে শয়তানের শিষ্য
হরেক দিন তো করছে তারা মানুষ অদৃশ্য!
নম্বরকে খম্বর করে যেমনি সরায় টাকা
তেমনি করে সরাবো তোর্ ধরার বুকে থাকা|
দেশের মানুষ ভাববে কেন? নাকে দেবে তেল
দেশের কথা ভাববে যারা, তারা যাবে জেল|