বুদ্ধিমান লাল্টু মিয়া (দ্বিতীয় খন্ড)


লাল্টু মিয়া করলো শুরু দলিল লেখার কাজ
অংকে লেটার পাকা বুদ্ধি লাগলো কাজে আজ|
দাগ খতিনের নম্বর গুলো সঠিক ভাবে লেখে
কার নামে যে দলিলটা হয় কেইবা প’ড়ে দেখে|
গায়ের ছেলে শফিক এলো ইঞ্জিনিয়ারিং প’ড়ে
লাল্টু মিয়া ধমকায় তারে সবার সামনে ধ’রে
কি করেছিস লেখা পড়া, দেখি প্রমান দেখা তার
এই দলিলের দাগ খতিনটা কোথায় আছে করত বার!
শফিক পড়ে দলিলখানা এ পিট্ থেকে ওপিট
হায়রে একি পত্রং মিদং হিং টং ছিট্?
লাল্টুমিয়া ধমকে ওঠে ঢের হয়েছে দলিল পড়া
দাগ খতিনের জায়গা এটা, কেন পড়িস আগা গোড়া?
লাল্টু মিয়ার বুদ্ধি দেখে গায়ের লোকে ভাবে
ভার্সিটিতে পড়লেই কি কেও এমন বুদ্ধি পাবে?
লাল্টুমিয়ার  বাড়ির পাশে বাস করে এক খোকা
কেও বলে সে ভালো মানুষ কেও বলে সে বোকা|
লাল্টু মিয়ার বুদ্ধি আছে চিন্তা কিসের তার?
নানার জমির শরিকানার পাওয়ার দিল ভার|
লাল্টুমিয়া কাগজ এনে একটা নিল টিপ
লাল্টুমিয়া পেয়ে গেলো খোকার জমি, দ্বীপ|
কে জানে আর কত যে জন জলিল কিবা খোকা
নিয়েছিল লাল্টুমিয়ার বুদ্ধি কিবা ধোকা|


লাল্টু মিয়ার ছোট ভাইটা ইরান দিল পাড়ি
মাসে মাসে টাকা আসে অনেক কাড়ি কাড়ি|
জমির পরে জমি কেনে বানায় বড় প্রাসাদ
হটাত করে ভাইয়ের বৌটা সাধলো একটু বাদ
কার নামে সব জমি বাড়ি দেখতে নাকি চায়
লাল্টু মিয়ার বুদ্ধি আছে, বিহিত একটা পায়|
ছোট ভাইয়ের ছেলেটাকে বড়ই ভালবাসে
তার আদর দেখে মুগ্ধ হয়, যেই বাড়িতে আসে|
ছেলেটাকে গাও ঘুরালো মটর বাইক করে
সেদিন রাতে হটাত নাকি কেমনে গেল ম’রে|
ছোট ভাইয়ের বৌটা পাঠায় বাপের বাড়ির পথে
ট্রেনে নাকি পড়ল কাটা কারো কারো মতে|
ছোট ভাইটা ইরান থেকে ফেরেনি আর দেশে
সবাই বলে ভুমিকম্পে মরলো নাকি শেষে|


(চলবে ............।)


(তৃতীয় খন্ডের ঈঙ্গিত)


লাল্টু মিয়ার অনেক জমি, এখন অনেক টাকা
তবু যেন জীবনটা তার কেমন লাগে ফাকা|
লাল্টু মিয়া দেখাতে চায় দেশের প্রতি প্রীতি
সেই কারণেই করতে হবে সরকারী রাজনীতি|
..............................।।