রাজ্যের যত বুদ্ধিজীবী ডাকলো রাজসভায়
যে করে হোক এ সমস্যার সুসমাধান চায়।
রাজ্য সভা ভরে গেল মোটা বইয়ের ভারে
সুসমাধান খোজা হবে মডার্ন কম্পিউটারে।
অনেক ভেবে অবশেষে বুদ্ধিজীবি গন
বলল অতি জটিল নাকি মানুষের এই মন।
বৃদ্ধ যত শুন্য মাথায় শুভ্র লম্বা দাড়ি
জটিল তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে শুন্যে দুহাত নাড়ি।
সভা কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে তর্ক ও বিতর্কে
নিচু গলার স্বভাব যাদের কে শোনে তার স্বরকে?
চশমা পরা যুবক যুবা, গলায় পরা টাই
কম্পিউটারে জটিল যত তত্ত্ব তথ্য  ঢুকায়।
বয়সকরা চেয়ে থাকে অবাক ও বিস্ময়ে
বিশ্বে এলো একি যন্ত্র কী এক যাদু ল’য়ে?  
যা কিছু চাও মডেল করে অতীত ভবিষ্যত
দিয়ে দেবে সহজ ভাষায় সঠিক অভিমত।
মন্ত্র ভরা যন্ত্র খানা চললো কয়েক দিন
দিবা রাত্রি বৃদ্ধ যুবার কাটলো নিদ্রাহীন।
অবশেষে যন্ত্র খানা ছাপলো কয়েক পাতা
কে বুঝে তার অতি জটিল কঠিন মুন্ডু মাথা?
শেষের কটা লাইন কিন্তু অতি পরিষ্কার
সবাই জোরে চিত্কার দেয়, “সন্দেহ নেই আরঃ
রাজা যখন গিয়েছিল বিদেশে-বিভূঁয়ে
কুপ্রথাতে গেছে সেথায় রাজার মনটা খুয়ে।
অতি সত্ত্বর করতে হবে মনের চিকিত্সা
রাজা কেন মানবে নাকো রাজার বিহিত্ যা?”