আদি যুগের কোনো একদিন এক সে ধূর্ত লোক
ভেবেছিল মনে মনে  যেমন করেই হোক
দুনিয়াটা ভাগ করা চাই বুদ্ধিমান আর বোকায়
বোকারা সব মরবে খেটে বুদ্ধি কেনার ধোকায়।


ইট পাথরের কারখানাতে মত্ত হবে ধ্যানে  
নইলে পরে রইবে পড়ে সবার পিছে জ্ঞানে।
তাই শিক্ষা পেলো শেষে আকাশচুম্বী অট্টালিকা
ধনের তরে মন ভাঙনের অমানবিক বিভিশিখা।


এ কারখানায় ঢুকতে যে চাই মগজ ভরা মাথা
বছর কয়েক পিষবে যেটা আখ মাড়াইয়ের যাতা।
এ কারখানার যাতাকলে ঢুকলে লেবুর বল
বেরিয়ে আসে এবড়ো থেবড়ো নীরস ছোবড়া-ফল।


বুদ্ধি শেখার কারখানাতে বুদ্ধিই হয় হারা
শিক্ষিত জন বেরিয়ে আসে, মানুষটা যায় মারা।
মানুষ ভেঙে টাকা আয়ের যন্ত্র গড়ে সেথা
কি ভাবে সে টাকা বানায় খবর রাখে কে তা?


চাকরী মানে ভাবনা কাজে বসের কথাই সব
ন্যায় অন্যায় সত্যি মিথ্যার রয় না অনুভব।
আয়-যন্ত্র পায় এক ঘর নাম তার সংসার
নারীর চাওয়া যোগান দিতে জীবনটা শেষ তার।


ভাবছে বসে হতাশ কবি আসবে কি সে দিন
সত্যিকারের শিক্ষা পেয়ে মানুষ হবে স্বাধীন?
সত্যি কথা বলতে যেথা রবে নাকো ভয়
মিথ্যা যা তা মিথ্যা নামেই পাবে পরিচয়।


জীবন চলার পথে যারা পড়বে কভু পিছে
মরবে নাকো পিষ্ট হয়ে উপর তলার নিচে।
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে মানুষ হয়েই রবে
ধনার্জনের কারখানাতে যন্ত্র কেন হবে?


এই ধরনীর আলো হাওয়াই হাজার শিক্ষা আছে
মানুষ হওয়ার শিক্ষা পাবে মানুষ গুরুর কাছে।
বেশি পাওয়ার শিক্ষা ছেড়ে দেওয়ার পথে যাবে
অল্প পেয়ে তুষ্ট যারা তারাও অল্প পাবে।


২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২