আজ ভোরে দরজায় শুনলাম ডাক
“চৌদ্দশ তেইশে আমি বৈশাখ।
তোমার গণনায় যা খুশি তা বলো
সময়হীন সময় আমি, বয়স অনেক হলো।


আমার স্মৃতির খাতা ঘটনায় ভরা
হাসি, কান্না ,ভাঙা, গড়া, বর্ষা, বন্যা, খরা।  
তোমার পঞ্চান্ন এক বিন্দু হয়ে থাক -
স্ফীত-উদর, সাদা চুল, মধ্যিখানে টাক!  


অনেক পেয়েছো তো, হারিয়েছো অনেক
জয়-পরাজয়ে জীবনের নিত্য অভিষেক।
যদি বাঁচো  দেখা হবে সাবধানে থেকো
দুরে কাছে যারা আছে আপন করে রেখো।”
    
বললাম “যেও না আরো কিছু বলো”
বলল সে “তোমারও যাওয়ার সময় যে হলো।  
ভুলে যাও কি পেলে না, গাও জয় গান
ভালোবাসো সবাইকে, করি আহবান।

যত পারো দিয়ে যাও, নিয়ে মন ভরে না
যে পারে তার সব দিতে মরেও সে মরে না।
জীবনের কর্ম-খাতা কর নবায়ন
হিসাবের কথা সদা রাখিও স্মরণ।
সংসারে প্রেম, প্রীতি আর প্রভু-ভক্তি
দুর্বল চিত্তে তব দেবে সদা শক্তি।”

বললাম আমি “করে যাও চূর্ণ
আছে যত অত্যাচারী অহংকারে পূর্ণ,
তোমার ভয়ঙ্করী বৈশাখী প্রলয়ে।
তার সাথে যাও তুমি লয়ে
বাঙালীর আছে যত গ্লানি
হিংসা, ঘাত, যুদ্ধ, হানাহানি।
আর নিও সকলের মনের অন্ধকার,
যতক্ষণ নাজাগি, ডেকো বারবার!”