দেহ নামের যন্ত্রটা যে, দিচ্ছে বড়ই যন্ত্রনা
চলার গতি কমছে যতই নিচ্ছে চলার মন্ত্রণা।
যতই বলি ওরে বেকুব শোন রে কথা শোন
দিন যত যায় দুর্বল তুই, হছিস পুরাতন !


এখন যদি চলতেই চাস আগের মতো বেগে
নড়বড়ে পার্টস একেবারেই ভাঙবে ঝাক্কি লেগে।
খাস না যতই ডিজেল, পেট্রোল, সঞ্জীবনী-টনিক
বয়লারের এ স্টিম ইঞ্জিন, হবে সুপার-সনিক?


দেখিস যতই বাইরে চেয়ে পথটা বিশাল মরু
ভেতরে তার ময়লা জমে, পথটা বড়ই সরু।
আঁকাবাঁকা সরু পথে চালাস একটু ধীরে
চলার মাঝে থেমে থেমে শ্বাসটা পাবি ফিরে।


বিরামবিহীন চলতে গেলে বাড়বে দেহে তাপ
ফটাস করে ফাটবে সেটা হলেই উচ্চ-চাপ।
ট্যাংকটাতে তোর ক্ষয় ধরেছে জমা অনেক জং
সেটা কি আর হবে নতুন লাগাস যতই রং?


হেথায় হোথায় হয়তো আছে অনেক ছোট  ফুটো
বেশি কিছু ভরলে হবি তুই জগন্নাথ ঠুটো।
যখন যেথায় দেখবি গ্যারেজ ভালো মেকানিক্
নড়বড়ে নাট-বল্টুগুলো করিস সেথায় ঠিক।


যতই টাইট করিস রে নাট একটু পড়বে তেল
গোলাপ জলে ধুলেও দেবেই গন্ধ - পঁচাবেল।
বড়ই অচল পার্টসগুলি তোর রয় যদিও কাজে
যা করেছিস আগে সে সব এখন কি আর সাজে?


তবু যদি মাঝে মাঝে মবিল লাগাস তাতে
বডি-ইঞ্জিন আরও কদিন থাকবে একই সাথে।
অল্প খাবি ধীরে যাবি দিস মাঝে হুইসেল
নইলে হঠাৎ পথের মাঝে খতম হবে খেল।