কখনো ঐ বিশাল মেঘমালা,
আমার বুকে ভর করে।
কখনো ঐ বজ্রের হুংকার,
আমার দেহকে প্রকম্পিত করে।
আর কখনো বৃষ্টি ঝরে,
আমাকে পরিশুদ্ধ করে।
আঁধারের গভীরে কখনো হারাই,
একাকী নিঃসঙ্গ কোন রাতে।
খোলা জানালায় বসে চিঠি লেখি,
অজানা ঠিকানায় কারও কাছে।
চোখজোড়া ভিজে একাকার হয়,
এক সমুদ্র লোনাজলে হেসে হেসে।
ছলছল করে এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজে,
একটু আশ্রয় তবে কোথায় আছে।
নির্ঘুম রাত কখনো কখনো দীর্ঘ হয়,
মনে হয় এক যুগ হয়ে গেছে।
কষ্টগুলোও তাই দুমড়ে মুচড়ে উঠে,
শিরা-উপশিরায় শত ক্ষতের চিহ্ন রচে।
ঐ আত্মা বহুদিন উপোস রয়েছে,
প্রশান্তির সেই ছায়া হতে।
ঐ আত্মাটি তাই খুব কষ্টে আছে,
নীল অনুভবে ডুবে যেতে যেতে।
এরপর হয়তো পুরোই ডুবে যাবে,
নীল সমুদ্রের অতলে।
অনাহারে কষ্ট পেয়েই নিঃশেষ হবে,
আত্মাটি পিষ্ট হবে সময়ের অগোচরে।
এরপরও কি আমার দেহটিকে দেখবে,
এই মুখয়ব দেখার আশা করবে?
যখন অনুভূতি সমেত আত্মাটিই -
ছেড়ে চলে যাবে দূরে বহুদূরে।।