আমি তারে চিনিনে,
সে আমারে চিনে।
কিসের ডোরে বেঁধে রাখে,
কিসের এতো ঋণে।


সবুজ সন্ধ্যায় তাকে দেখি-
আমতলীর ঐ গায়ে।
বন্ধু বলে হাত বাড়ালো সে,
নোঙর ফেলে নায়ে।


সকাল, সন্ধ্যা, সাঁঝের বেলা
ঘুরি তারই সাথে।
মনের মাঝের সকল কথা,
পুঁজি করি তাতে।


কৃষ্ণচূড়া খোঁপায় গুঁজে-
সে আমারে ডাকে।
চলনা আজ ঘুরে আসি,
পুরো শহরটাকে।


আকাশ দেখবো পাখি হয়ে,
সূর্য হয়ে হাসবো।
চাঁদ হয়ে জোৎস্না দিবো,
কোকিলা গান গাইবো।


আমি তাকে বলি তখন,
আর কি তুই পারিস?
আমার জন্যই এতোকিছু,
বর পেলে না কি করিস!


সে আমাকে শুধায় তখন,
বন্ধু তুই ভালো আমার
লক্ষ্মী একটা ছেলে।
তোর ছোঁয়াতেই ধন্য আমার,
জীবন-মরন-হিয়ে।


একদিন তার ছবি দেখে,
কবিতা লেখি আমি।
সে থেকেই নামটি তার,
কৃষ্ণচূড়াই ডাকি।


পড়াশোনার প্রতিক্ষণে,
ডাকে আমায় সে।
তার পড়াটা আমি পড়লেই,
খুশি যে হয় সে।


তার চাপে বইপত্র,
একটু ঘাটা হয়।
নিজে না পড়তে চাইলে,
তার জন্য পড়তে হয়।


সুখ-দুঃখের ভাগাভাগি,
কথায় কথায় চলছে ভারী।
নিরন্তর এই পথ চলাতে,
নেই যে তাই আহাজারি।


জীবন চলছে বেশ বটে,
যা ভালো তাই ঘটে।
কিছু কথা লোকে রটে,
নিন্দুকের নিন্দা বটে।


শেষবেলাতে এসে বলি,
বান্ধবী তুই ভালো থাকিস।
কৃষ্ণচূড়া হয়েই থাকিস,
সন্ধ্যার আকাশে উঁকি মারিস।।