কোন গহীন আঁধারে যখন গা ভাসিয়ে দিচ্ছিলাম,
ঠিক তখন কারো হাসির শব্দে চমকে উঠলাম।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম তখনই, কে তুমি?
সে বললো "আমি সুহাসিনী "


আমি চোখ কচলে কচলে তার কাছে গেলাম,
কিন্তু তার মুখটা কেমন যেন ঝাপসা
স্পষ্ট কিছু বুঝতে পারা যাচ্ছেনা।
তবে শুধু তার হাসিটুকু আমি দেখতে পাচ্ছিলাম,
একদম সুহাসিনীর অনুরূপ।


আমি বারবার তার ঠোঁটের গতিবিধি দেখছিলাম,
এতোটাই অবিকল সুহাসিনী হয় কি করে তাই ভাবছিলাম।
একটা স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছিল আমায়,
প্রশান্তির একটা ঢেউ বয়ে যাচ্ছিলো প্রাণ জুড়ে।


শত রকমের পুষ্পের পাপড়ি বৃষ্টি হচ্ছে,
আকাশের মেঘগুলো বাহারি রংয়ে সাজছে।
সবুজের ঐ মাঠ জুড়ে সুহাসিনীর হাসির শব্দে মুখরিত হচ্ছে,
আর সুখ পাখিগুলো মধুর কন্ঠে সুরেলা গান গাইছে।


ঠিক তখনই একটা আলোর ঝটিকা এসে,
মুহুর্তেই আমার আঁধারিকে মিইয়ে দিলো।
আচমকাই সব আলোকিত হয়ে গেল চারিপাশ,
আর তখনই সুহাসিনীকে আমি স্পষ্টতই দেখতে পেলাম।


আর ততক্ষণে সে পুনরায় অভিমান করলো,
হাসি বন্ধ করে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে রইলো।
কেন তাকে নিয়ে এখনো কবিতা লিখলাম না!
কেন তাকে নিয়ে এমন করে আগেই আমি ভাবলাম না!


তবে যাই হোক অভিমানটা তার মিষ্টি ছিলো,
আপন ভাবনার কষ্ট ছিলো।
হারিয়ে যাওয়ার ভয়টাও ছিলো,
নিঁখুত মনের স্বপ্নেও ছিলো।


হয়তো এ এক নতুন আবিষ্কার,
সুহাসিনীর অভিমানী মুখটির।
মিষ্টি হাসির সুহাসিনীদের অভিমানও
মিষ্টি হাসির মতোই সুন্দর সৃষ্টির।।