আমি সেই মায়াবীর চোখ দেখেছি,
চোখের পলকে পলকে ডুবে গিয়েছি।
হারিয়ে যেতে যেতে তাকে পেয়েছি,
সুখের অতলে তাকে শুধুই চেয়েছি।


চোখ যেন নয় তার শুধুই ভাসাভাসা,
গড়ে তুলে মনের মাঝে কত কি যে আশা।
দৃষ্টির প্রখরতায় কি যে আছে এমন,
কাছে নয় আরও কাছে টানে যেন কেমন!


সুনয়না তার নাম, নামেই যেন নয়
গুণে-মানে অনন্যা সে, নেই সংশয়।
চোখ জোড়া যৌবনে ভরপুর হয়,
অপলকে তাকায় যখন সবই প্রেমময়।


তার চোখে না বলা অনেক কিছুই লেখা,
স্মৃতির পটে এঁকে চলে আমার অদেখা।
তার চোখে গল্প পড়ি সুখ, দুঃখ, ব্যথার,
মনের রঙে মূল্য দেই তার প্রতিটি কথার।


তার চোখেতে গভীর এক অনুভূতি,
আমায় বারবার জানায় তার না বলা আকুতি।
তার চোখেতে প্রতিচ্ছবি দেখি ভালোবাসার,
যা জন্ম হয়েছে আমারই মাঝে সহস্রবার।


তার মিষ্টি রংয়ের ঠোঁট আরও মায়াময়,
দূর থেকেই ছুঁয়ে দেয় যেন ভিন্ন উষ্ণতায়।
আর গালের ভাঁজে যেন লুকায়িত পথ,
চোখ বেয়ে ঠোঁট অবধি প্রেমেরই রথ।


তবে সুনয়নার চোখের ঐ মায়াবী প্রখরতা,
প্রকাশ করে বারবার অনুভূতির ঐ নিখুঁত গভীরতা।
বিস্তীর্ণ, সুবিশাল মাঠ-ঘাট পেরিয়েও যদি যাই,
তার চোখের ঐ দৃষ্টির রেশ তবুও পাই।


চোখের ঐ তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অন্তরালে তাই হারাতে চাই,
চিরকাল ভালোবাসায় প্রশান্তির পরশ যেখানে পাই।
নিমগ্ন থাকতে চাই আজীবন তার অপলক দৃষ্টিতে,
ভিজতে চাই, ডুবে যেতে চাই নতুন কিছু একটার সৃষ্টিতে।।