বুকের ভেতর কেমন যেন ধুক ধুক শব্দ করে,
মনে হয় বিশাল বড় কোন পাথর চেপে আছে তাকে ।
পাথরের চাপকে প্রশমিত করতেই যেন রক্তবাহিকায়-
রক্তের বেগ ক্রমশ বেড়েই চলছে ।


কখনো কখনো মনে হয় পুরো দেহটা ডুবে যাচ্ছে বুকের মাঝে,
আর চাপ বেড়ে পাহাড় সমান হচ্ছে ।
কখনো কখনো তাই চিনচিন করে ব্যথা নাড়া দেয়,
যেন সমস্ত কষ্ট ব্যথা হয়ে উপচে পড়ছে বুক থেকে মুখ গড়িয়ে ।


আমার হাত-পা প্রসারিত হয়ে ততক্ষণে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে,
হিম শীতল দৃষ্টিতে কেবল সম্মুখপানে দেখছে ।
কোন এক কাল্পনিক যমদূতের সাথে মুখাভিনয়,
এরপর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন ।


কিন্তু মৃত্যু ভেবে চোখ বুজলেই কি মৃত্যু আসে,
হতেও তো পারে সাময়িক দুঃখে অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়া ।
কিংবা যমদূত ভেবে অন্য কারো সাথে ঘুরে বেড়ানো,
পৃথিবীর সমস্ত ভাবনাগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে ।


অথচ সেই মৃত্যু মিথ্যা হলেও অনেকটা সত্য,
কারণ ততক্ষণে অস্তিত্ব আর মন দুটোই মরে গেছে ।
ভেঙে পড়েছে মনের বিশাল আকাশে স্বপ্নের স্তম্ভগুলো,
যারা ছাউনি হয়ে বেঁচে থাকার আশা যোগাতো ।।