একটা জ্বলন্ত অগ্নি স্ফুলিঙ্গে,
একটা টগবগে যুবক নিক্ষিপ্ত হলো।
এরপর সে ঝলসিত হলো,
রক্তগুলোও লালচে থেকে কালচে হয়ে গেল।


কেউ জানতোনা তার অপরাধ কি ছিলো,
কেউ জানতোনা কি পাপ সে করেছিলো?
তবুও নিক্ষিপ্ত যুবকটি নিশ্চুপ ছিলো,
শাস্তি মেনে নিতে সদা প্রস্তুত ছিলো।


মহান স্রষ্টা ন্যায়বিচারক, সর্ব জ্ঞাত জানি
ভুল বলে কিছুই হয়না তার, আমরা তা মানি।
তবুও জানার ইচ্ছেয় আমরা বিভোর সব,
স্রষ্টার তরে আর্জি করি, সুরে তুলি হে রব রব।


তখনো অনেক মেঘ ছিলো আকাশের সবটুকু,
গর্জন তুলে ডাক দিচ্ছে জোর তার যতটুকু।
হঠাৎই বিশাল ঝরো হাওয়ায় সব লন্ডভন্ড,
তুমুল বর্ষণে আমাদের শ্রম হলো সব পন্ড।


যদিও এর মাঝেই যে জানার বিষয়টি নিবদ্ধ,
বুঝার বিষয়টি যে গভীর অনুভূতিতে আবদ্ধ।
কেইবা বুঝবে, কেইবা জানবে স্রষ্টার এ জবাব
জ্ঞানী কিংবা দীনদার না হলে বুঝায় রয়ে যায় যাদের অভাব।


সে পাপী ছিলো, তার মনে অনেক কালিমা ছিলো,
ঐ স্ফুলিঙ্গ তাই তার সেই কালিমাকে ঝলসে দিচ্ছে।
সে জানে, সে স্বীকার করছে তার সব ভুল,
তাইতো নিশ্চুপে সব যন্ত্রণা সয়ে নিচ্ছে।


পাপ করতে করতে একদিন তা বোঝা হয়,
যার ফলাফল ঐ আকাশের মেঘের সমতুল্য হয়।
তাইতো বৃষ্টি হয়ে সব লন্ডভন্ড করে নিয়ে যায়,
কালিমা সব ধুয়ে নিয়ে পবিত্রতায় পূর্ণ ঘটায়।


হয়তো যুবকের ঝলসানো হৃদয় তারই নিদর্শন,
তুমুল অগ্নিতে বিশুদ্ধতারই বর্ষণ।
এরপর সেই দূষিত ধোয়ায় উড়ে যাবে সব,
যত কালিমা জমাটবাঁধা ছিলো করতো কলরব।


এভাবে যুবকটির মুক্তি মেলে,
প্রশান্তির ঐ সুশীতল ছায়াতলে।
কালিমা সব উধাও হয়ে অজানায়,
হারিয়ে যেয়ে অচেনা পথে নির্দ্বিধায়।।