একজন অশরীরীর সাথে দেখা হলো,
গতকাল রাত ঠিক দুটোর পরপর।
আমি ঘুমোচ্ছিলাম হাত-পা ছড়িয়ে
আর ওমনিই ঘুম ভেঙে তাকে দেখলাম।
তার রূপ আমি দর্শন করতে পারিনি,
তবে পরিচিত ভেবে ভয়টুকু তখন পাইনি।


তবুও যতটুকু মনে পরে,
ততটুকুতেই খুব আপন মনে হলো তাকে।
মনে হলো কতো চেনা সে,
কতোইনা দেখেছি তাকে আমি বারংবার।
অথচ আমি তার অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখিনি।


যতটুকু বুঝেছি, সে হালকা গড়নের
বেনী করা কেশের কোন নারী হবে।
আর ধূসর আলোয় ঝাপসা রংয়ের
কোন বস্ত্রে আবৃত ছিলো সে।


হয়তো সে পড়ছে আর মিটমিট করে হাসছে,
তাকে নিয়ে আমার এই জল্পনা-কল্পনা ।
তাকে নিয়ে আমার এই দ্বিধাবোধ,
হয়তো খুব বেশিই আনন্দিত করছে তাকে।


অথচ আমার ভীতির সঞ্চার হচ্ছে এখন,
এ ভেবে যে সে কে ছিলো এই আঁধারে!
যেখানে কোন দৃশ্যমান মানুষ অনুপস্থিত,
নিশ্চিত ভাবেই এই অচেনা তাই অশরীরীই ছিলো।


যদিও তার সাথে দেখা করার ইচ্ছে আছে মনে,
দেখতাম অশরীরীরা ঠিক কেমন হয়।
তার সাথে কথা বলে জানতাম তার ইচ্ছেগুলো,
বুঝতাম তাকে হয়তো তখন একটু হলেও।


সে আমায় অনেকবার গান শুনিয়েছে,
শিস্ বাজিয়ে বিরক্তও করেছে।
আর কখনো কখনো অাচমকা বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে,
অপমানের বিষয়গুলো আড়াল করেছে।
অথচ সবই করেছে সে অগোচরে, অদৃশ্যে থেকে!