দেখেছি অষ্টাদশী তোমায় যতদিন,
কাজল কালো চোখের মায়ায় ডুবেছি ততদিন।
রূপের মোহে চন্দ্র-তারায় ভেসেছি যতদিন,
তাদের মাঝে তোমার ছবি পেয়েছি ততদিন।


এরপর কিছুদিন মান-অভিমান, মনে-মনে আড়ি,
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আরও হতো ভারী।
অজান্তে অজানা কারণে বলতে ভালোবাসি,
মান-অভিমান ভুলে যেয়ে হাঁসতে অভিসারী।


ভাষাহীন শব্দে কেবল ভালোবেসেই গেছি,
চোখের ঐ গভীরে আরও নিবদ্ধ হয়ে গেছি।
দূরত্ব নামক অভিশাপকে ভুলেই যেন গেছি,
অজানা কোন মৃদু ঝড়ে তোমায় পেয়েই গেছি।


এরপর হয়েছে কত কি, কত অজানা কথা!
ভাগাভাগি, অনুভূত একে অপরের ব্যথা।
হয়তো সুখগুলোও বাদ যেতনা তাতে,
সমানে সমান ভাগিদার দুজনের খাতে।


সময়ের স্রোতে বয়ে চলছে ভালোবাসা,
দু'ধারে পূর্ণ হচ্ছে হৃদয়ের জমিন ঠাসাঠাসা।
কখনো তাই উপচে পড়ে উষ্ণতা চোখের জলে,
অমিয় সত্য, ভ্রুক্ষেপ নয়; ভালোবাসা তারেই বলে।


সদা সত্য, এই নিখুঁত, নির্ভেজাল পথচলা,
ছুঁয়েছে আজই তোমায় কুড়ি বছর তাই বলা।
আজ তাই সুন্দর আগামী প্রত্যাশা করি তোমার,
আমার সাথে এই পথচলা হোক চিরন্তন, শাশ্বত তোমার।


এই বেকার যুবকের ভান্ডার হতে শুধু ভালোবাসাই দেওয়ার,
আর তোমার চাহিদা এই ভালোসাকেই লুফে নেওয়ার।
তাই আজ মুক্ত করে দিলাম ভান্ডার আমার,
ভালোবাসা খেকো ভক্ষণ করো সবটুকু ভান্ডার।


এই উপহার টুকুই দেওয়ার ছিলো আমার,
গ্রহণ করো, বলো খুশী কি তুমি এবার?
শুভ জন্মদিন, শুভ কুড়ি বছর সাবালিকা,
চিরন্তন, সত্য তুমি আমার, দিগ্বিজয়ী প্রেমিকা।।