তখনো রাত হয়নি,
সূর্যাস্ত হলো কেবলই।
তখনো আঁধার হয়নি,
রাঙা আভা ছড়ালো কেবলই।


দখিনা হাওয়া বয়ে চলছে,
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও ঝরছে।
পরিবেশ ক্রমেই শীতল হয়ে চলছে,
মনের মধ্যকার উষ্ণতা তদ্রূপ বেড়েই যাচ্ছে।


খোলা জানালায় দূরের দর্শন,
আলো আঁধারির নিরব বর্ষণ।
ক্ষীণআলোর লালচে ধারন,
আঁধারি আসার তখনো বারণ।


কোন এক সমুদ্র বিলাসে,
তখনো মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে।
আনমনে হয়ে যেন সে,
কিছু একটা ভাবছে।


একটা নীল শাড়ি-
তার অঙ্গে জড়িয়ে আছে।
যেন শাড়ির মধ্যকার মানুষটি-
হাওয়ায় ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে।


তার কেশে ঢেউ খেলছে,
সাথে শাড়ির নীলাচল।
পুরো দেহটাই যেন দুলছে,
বায়ুর তরঙ্গে হিমাচল।


সেই নীল শাড়িটা,
ঘাড় নীল রংয়েরই।
আঁধারি নীল যেমনটা,
ঠিক যেন তেমনই।


একটা লতানো ফুল, ডালপালা
পুরোটাই শাড়ি জুড়ে।
পাড় বিহীন শাড়িটা ছড়িয়ে আছে,
মেয়েটির পুরোটাই দেহজুড়ে।


হাতে তার নীল চুড়ি,
কানে নীল দুল।
নীল আওয়াজ ছড়িয়ে গেল
মনের একূল-ওকূল।


হঠাতই বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে,
আঁধারি এসে নামলো নিত্য খায়েসে।
মুহুর্তে নীল মায়ার সে মিলিয়ে গেলো,
আঁধারির কৃষ্ণ গহ্বরে অনায়াসে।


তারপর তাকে খুঁজে চলা নিরন্তরে,
ঐ আঁধারির মাঝে নীলের ছোঁয়াকে।
খুঁজে চলা আজন্ম প্রত্যন্ত প্রান্তরে,
সূর্যোদয়ের প্রথম প্রত্যুষের নীল মায়াকে।।