গত চারটি দিন ছিলো আমার অনেক কষ্টের,
সারাদিন মনমরা হয়ে থাকতাম
বুকের ভিতরে শুধুই খা খা করতো।


আমার কিছু ভালো লাগছিলো না এ কয়দিন,
একা একা শোয়ে অনেকবারই চোখের কোন দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছিলো।
কতবার যে তোমার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শুনেছিলাম তার হিসাবই নেই।


ঐদিন আমার এক বাল্যবন্ধু বলছিলো-
আমি অসুস্থ কিনা! না হয় আমাকে এতোটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল কেন?
আমি তাকে বলেছিলাম আমি অসুস্থ,
তবে কোন অসুখ আমাকে ধরেছিল তা আর বলিনি।


তোমার সমুদ্র বিলাস ছবিগুলো দেখছিলাম,
আর আমি ভাবছিলাম।
আমাকে সমুদ্রের পাশে না পেয়ে তুমি কতোটা কষ্ট পেয়েছিলে,
আর তোমার মুখেই যখন এ কথা শুনছিলাম
তখন মনের কোনে যে ভালোবাসা জমা হয়েছিল
তা একটা ঢেউয়ের তোড়ে সারা দেহে ছড়িয়ে পরেছিল।


আমি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি তা বলতে পারবোনা,
কিন্তু তোমার সাথে কথা ঠিকমতো না হলে আমার কান্না আসে
দেখা না হলে খুব কষ্ট হয়
আর তোমার হাসি আর চোখে ভালোবাসার নকশা আঁকতে না পারলে কোনদিন-
জীবনটাকেই অর্থহীন মনে হয়।


আমি অনেক আশা করে বসে ছিলাম,
তুমি আসলে অনেক কথা হবে,
চারদিনে যে চারবছর হারিয়ে ছিলাম
তা পূরন হবে,
কিন্তু আমার এই অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য কিছুই হতে পারলোনা।


বিশ্বাস করো আমি তোমার সাথে দেখা করবো,
এ কথা ভেবেই কতোটা উৎফুল্ল ছিলাম।
কতোটা পাগল হয়ে ছিলাম আমি কেবল তোমাকে দেখার জন্য।


আমি সব সময় তোমার জন্য ভয়ে থাকি,
আমার কোন ভুলের জন্য যেন কষ্ট না পাও সে জন্য।
কিন্তু তবুও ভুল করে বসি অনেক, আর তুমি বারবারই ক্ষমা করে দেও।


আমি তোমাকে ছাড়া বড্ড একা,
আমার জীবনটা তোমার উপর ভর করে আছে এখন।
কতোটা তোমার উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছি আমি,
তা হয়তো তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা।


আমার সবকিছুই তোমাকে ঘিরে এখন,
আমার সবকিছুতেই তোমায় ছুঁয়ে যায়।
আমি এক মুহুর্তও ভাবতে পারিনা তোমাকে ছাড়া,
এক মুহুর্তও বাঁচতে পারিনা তুমি ছাড়া।
তুমি আমার শ্বাসপ্রশ্বাস হয়ে গেছ।।