শুভমিতা, তোমার কি সেই অনুভূতি মনে আছে?
যেদিন তোমায় প্রথম পুরুষ হয়ে আমি -
আঙুলে রিং পরিয়ে দিচ্ছিলাম।


সেদিন তুমি আমাকে বলেছিলে,
তোমার নাকি খুব অন্য রকম লাগছে।
অন্য রকম কোন ভালো লাগা তোমায়,
বারবার ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে।


তোমার বারবার ইচ্ছে করছিল,
আমাকে জড়িয়ে ধরতে খুব।
আমাকে জড়িয়ে ধরে ইচ্ছে করছিল তোমার,
ভালোবাসার নদীতে দিতে ডুব খুব।


আমি সেই অনুভূতি-
খুব কাছ থেকে দেখেছি সেদিন,
তোমার ঠোঁটের খুব কাছ থেকে-
অনুভূতি সমেত কম্পন শুনেছি সেদিন।


সেদিন তোমার চোখের চাহনীতে,
আমি তোমার তৃষ্ণা দেখেছি।
যেই তৃষ্ণা আমার ভালোবাসা পাওয়ার,
ভালোবাসার শরাব পান করার তাই জেনেছি।


জানো, আমারও খুব ইচ্ছে করছিল
তোমার সাবওয়ে যখন-
হাত বেয়ে আর ঠোঁট বেয়ে নামছিল,
সেগুলোকে সোহাগ করে দিতে একটু তখন।


সেদিন রিং পরিয়ে দেওয়ার অজুহাতে,
আমি তোমার হাত আর ছাড়ছিলাম না।
তুমিও সেদিন আর আমাকে কোন বাঁধায়,
বাঁধতে চাইছিলে না।


তুমি রিং পরলে, আর সেটা আমার পছন্দের
তখন তোমার সৌন্দর্য আর আমার ভালো লাগা
ঠিক কোথায় যেয়ে যে পৌঁছে,
তা তোমায় আমি বোঝাতে পারবো না।


তোমাকে এতো মানুষের ভীড়ে,
আঙুলে রিং পরিয়ে দিতে যেয়ে-
আমারো ভালো লাগার একটা মাত্রা ছুঁয়েছে,
বারবার জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলতে ইচ্ছে করেছে।


সেদিন তুমি আমাকে শাসন করেছিলে,
এভাবে সব সময় হাত ধরে রাখার জন্য।
এরপরই আবার তুমিই হাত ধরে আদর করে
বলেছিলে "লক্ষ্মী ছেলে একটা "।


তোমায় রিং পরিয়ে দেওয়ার হয়তো
তেমন কোন মজবুত সাক্ষী নেই।
তাতে কি, সেই অনুভূতি তো দেখেছি আমি
যেই অনুভূতি প্রথম কোন নারীর মনে,
ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখায়।


তুমিও হয়তো বারবার এখনো মনে করছো
তোমায় রিং পরিয়ে দেওয়ার মুহুর্তটুকু।
হয়তো বারবার আফসোস করে যাচ্ছো,
কেন ক্যামেরাবন্দী করোনি এই স্মৃতিটুকু!


শুভমিতা,  শোন তুমি
আমি আর কিচ্ছুটি চাইনা তোমার থেকে,
শুধু এই রিং পরিয়ে দেওয়া আঙুল ধরে হাঁটতে চাই
আজীবন জীবনের পথ ধরে অসীম গন্তব্যে।।