তুমি কুকুরের পৃষ্ঠে  ত্তষ্ঠ মেলাতে কুন্ঠিত হও না
তাদের ভেংচি সহ্য করে আদর করতে পার
ওদের লালাতে তোমার ভ্রু কুঞ্চিত হয় না
অথচ মানুষকে তোমার এতোই ঘৃণা
ভালোবাসা আসে না, ভাবো প্রতিদ্বন্দ্বী?
ললাটে মেলে না তাদের করোটি
হিংসাতে ক্ষোভ বাড়ে, গায়ে লাগে দাহন।

তুমি কুকুরের মল স্বযত্নে তুলে
ভরতে পারো ভ্যানিটি ব্যাগে
অথবা পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারো
মানুষের গায়ের গন্ধে তোমার পড়ে ফোস্কা
রোগ দেখে নাক ঢেকে ভ্রুকে করো চক্র।


তুমি কুকুরছানাকে রাখতে পারো ভ্যানিটি ব্যাগে
সাথে নিয়ে যাও কর্মস্থলে কিংবা মুক্তাঞ্চলে
বাজার থেকে বন্দরে, ফুটপাত থেকে পার্কে
আর নিজের অঙ্গজকে রেখেছো শিশুসদনে
পয়সার আদরে কোনো পরের আশ্রয়ে?

তুমি বিড়ালকেও চুমো খেতে পারো
হরিণ কিংবা অন্যকোনো চতুষ্পদকে
তুমি বক্তৃতা আর শ্লোগানে ঝড় তুলো
পরিবেশ আর প্রাণীদের অধিকারে;
তোমার কন্ঠকে করো অবারিত
পশুপ্রেমে মত্ত হয়ে গড়ো বিশ্বজয়।

তুমি বিড়ালের কান্না সহ্য করতে না পেরে
পাঁচ মাইল পাড়ি দিয়ে প্রতিরাতে
তার ক্ষুধাতে ব্যথিত প্রাণে
কোনো এক ফিলিং স্টেশনের ছাদে
খাবার ছুঁড়ে দিয়ে ঘুমাতে যাও।
মানুষের ক্ষুধায় জাগে না হৃদয়ে ব্যথা
মলিন বেশে বাড়ানো হাতটি ধরে
গালি দিয়ে দাও দুরে ঠেলে!

তুমি পরিবেশবাদী অথবা পশুপ্রেমী
তুমি প্রগতিশীল কিংবা মুক্তমনা
তবে মানুষকে কেনো কর হেয়
স্বজাতির প্রতি তোমার এতোই বিদ্বেষ?
তার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে তুমি হও পরিশুদ্ধ!

নিজের জন্য যা ভালো ভাবতে পারো
তাহলে নয় কেন পরের জন্য?