এই শ্যামলে একটি আত্মা বাস করে
যার হৃদয়-পিন্ডে একটি তানপুরা বাজে
কেউ বলে না ভালো, তবুও গাত্তয়া
হিংস্রমধুর ধ্বংসবীণা ছাড়া কিছু নয়।
ইবলিশও তার গানে লজ্জা পায়
ঘুর্ণায়মান আর চতুর্দিক বেষ্টনে
প্রলয়ের নৃত্যে যেন তার অমায়িক হাসি
তার কন্ঠ সব নিঃশব্দ খুনে, শ্রবণে ভাসে
কদর্য শোভিত জল তরঙ্গ খেলা।


উপরে নড়বড়ে মাথা
তার উপর সূর্য দুপুরে
প্রেমমুগ্ধ চাঁদের ফণায়
তার বিষের ঢালা।
ভালবাসা দিয়ে তাকে পাওয়া যায় না
সম্প্রীতিতে তার দারুণ বিরাগ
সততা আর সরলতায় চরম বিতৃষ্ণা।
আন্ত:পীড়ায় তার ভ্রুয়ের প্রলয়
তবুও সে আছে সবার মাঝে
সবার মনে মণিকোঠরে
কিছু স্বার্থে, কিছু ভয়, ক্ষোভ আর জিঘাংসায়


এবং সে আগুনের ফুলকিতে
সাগর সঙ্গমে কিছু ঢেউয়ের তালে
মনবিকারের আগ্নেয়গিরির অগ্নিতে
সে বীণা বাজিয়ে প্রলয় আনে
অস্ত যায় এক টুকরো গণতন্ত্রের সম্ভাবনা
কম্পিত জীবন্ত স্বাধীকারের প্রোথিতে
দূরারোগ্য তার মনোব্যধি!


সে আকাশ দেখে না, মাড়ায় শুধু
চাঁদের আলোতে স্নান করে না
কাঁদায় শুধু। নক্ষত্রের আমন্ত্রণে দেয় না সাড়া।


অতএব সে ভুল কিংবা শিল্পীর অপাচার্য
ইবলিশের আশ্রিতা, মানবাত্মা বিকারে
বিজ্ঞতম নষ্টামিতে শ্রেষ্ঠ কবি!
জীবনের ব্যাধি এবং দীর্ঘ পচনশীল ক্ষত!


আমাদের মাঝে তার বাস
ডাইনীর প্রেতাত্মায়।
আমাদের করেছে অবশ তার মায়া যাদুতে
আমাদের করেছে অলস তার শিক্ষা সাধুতে।