যখন কালের কন্ঠ রুদ্ধ প্রায়!
দুমড়ে ভাঙ্গে সাক্ষ্য মেরুদন্ড।
ভরসার কূল ভেসে যায় জলোচ্ছ্বাসে
আঁতাত করে হৃদপিন্ডটা, চোখের আড়ালে।
তখনো চলেছি সময়ের সাথে, পাল্লায়।
চাহিদার মুখোশে চিত্ত তাড়িত।
অবলারে আমি দুষছি মনের মত
চাটছি পদযুগল প্রতাপশালীর।
এখনো থামে নি ঝড়, নির্ঝর।
ভয়াল ত্রাসে জলের আগ্রাসন
ছিঁড়ে যায় পাল গরীব মাঝির
অটুট তবুও মহাজনের হাসি।
কখনো সে মজে নি রবীন্দ্রনামায়।
কাঁপে নি ভয়ে নজরুল হুঙ্কারে।
ভালোবাসা নেই সুকান্ত সুনীলে
মাদকতায় ডুবে পান রক্তসূরা।
দৃষ্টি তার স্বার্থের নি:স্বতায়
একদিকে যত আছে হাহাকার
অপচয়ের উত্সব অন্যদিকে।
একদিকে বাঁচার করুণ আকুতি
ক্ষমতার লিপ্সায় মাতাল অপরদিক।
একপিঠে তার ফুলের মালা
অপরপিঠে নাঙা তলোয়ার।