বিষ্ঠাপূর্ণ মাথার ঘিলু আর আস্তাকুঁড়ে খুজি
আমাদের রাজসেবার আদলে জনসেবার ইজারা!
আমার খুন আর চাঁদাবাজির আধ্যাত্মিক কর্মে
ঐতিহাসিক এক ছারপোকা দর্শনচিন্তায়
আমার সকল অপরাধ রাজনৈতিক অটোমেশিনে
নিমেষে নিষ্পাপ আর নীতির খোলসে
আমি হয়ে উঠি জননেতার ভাবাদর্শের দাসত্বে
নিষ্কলুষ ও ফুলের চরিত্রে মহিয়ান!
তারপর একদিন নেতার গলায় ফুলেল মালায়
পরিত্যক্ত আদর্শ আর বিকলাঙ্গ রাজনীতিতে
নেতার হাত ধরে, আমার হলো অভিষেক!
তিনি আমায় শিখিয়েছেন, এই বহুরূপি সেবায়
না লাগে যোগ্যতা, না চেতনা কি মূল্যবোধ
এখানে লাগে না শিক্ষাখড়ি, বিদ্যের সনদ
পরসেবার উদারতা কিংবা চরিত্রের সত্যায়ন!
শুধু জনতার আক্ষেপে, আপেক্ষিক গণতন্ত্রে
জনতার সমর্থন। ষড়যন্ত্রে কিংবা স্বৈরতন্ত্রে।
আমি এখন জনসেবা করি বলে-
জনতার কাছে যাই, মাথা উঁচিয়ে
শতাব্দীর উন্নয়ণে ভিক্ষে মাগি
জোরে আর জোড়ে! আইনের বাধ্যকতায়।
আমি জননেতা হয়েছি বলে,
ডোবাজলে পাতি আমার পদ্মাসন
দেশের কল্যাণে সমাজকে করি শোষিত
সমাজকে বদলে দেবো বলে
সমাজপতি হয়ে রাজনীতির ইজারা নিয়েছি।
আমি গণতন্ত্রের মহানায়ক হবো বলে
জনমন্ত্রে এনেছি নতুন বাদ্য-শ্লোগান
নেতার সেবাই দলের সেবা
দলের সেবাই সমাজসেবা!
আমি এখন বৈধ আর আইনের সিদ্ধতায়
রাজনীতির টুপি পড়ে
মানুষ খুন করি, রক্তের তিলক পড়ি!
আমার খুনে হাতে রক্ত আর ঘাম
মৃগনাভির চেয়েও সুগন্ধিময়
চরিত্র আমার ফুলের চেয়ে পবিত্র!