আস্তাঁকুড়ের মাঝে হয়তো অমৃত খাবারের সন্ধান পাওয়া যায়
ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা যায়
গাছতলায় বাস করে আকাশ ছোঁয়ার গল্প বলা যায়।
পাঠ্যবইয়ের মাঝে সুষম সমাজের চিত্র
আর আষাঢ়ের গল্পে নীতিকথা মেলে
বাস্তবে সুমনার মতো মেয়ের আশা ফলে না, কিংবা
আকাশ ছোঁয়া দুরে থাক আকাশেরই অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।
বাপটা নিরক্ষর ছিল বটে, মূর্খ নয়
তারপরও কৃষি জমিগুলো রক্ষা করতে পারে নি শকুনের হাত থেকে
মামলা আর  হুমকিতে সব সময় ভয়ের পোষাকে থাকা হতো।
সুমনার বড় স্বপ্ন ছিল, ভালো একজন আইনবিদ হয়ে
এসব সমাজের শকুনের বিরুদ্ধে লড়বে। মধুর প্রতিশোধে
বাপ-মার কষ্ট আর নিজের একাগ্রতায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা পর্যন্ত গিয়ে মোহ ভঙ্গ হয়
এখানে ভালো ফলাফল পেতে হলে শুধু লেখাপড়া কিংবা
অধ্যাবসায় নয় শিক্ষকের কৃপা দৃষ্টি পেতে হয়!
সেটা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না, তারপরও
ভালো একটা সনদ হাতে আসে, স্বপ্নের পথে একধাপ।
সেদিন তার সাথে দেখা অনেকদিন পর
তারপর স্বপ্ন পূরণে কতটুকু- জিগ্যেস করতেই
চোখে ভাসে সব হারানোর দৃষ্টি। বলল,
প্রাইমারী ইস্কুলে মাস্টারি করি। এর চেয়ে বেশি কিছু
জুটল না কপালে। এমনই হয়, সে বলল।
মেধা আর সাধনার বাইরেও আরো কিছু লাগে যোগ্যতার সাথে
এই সমাজ শুধু ক্ষমতার পক্ষে, শক্তির সাথে।