জ্বলছে বুক!
পায়ের পাতা থেকে উঠে আসা
শিরশির করে ব্যথায়
সমস্ত শরীরের শিরায় উপশিরায়
ঘুরে বেড়ায়।
মাথার ডানপাশ চিনচিন করে ব্যথা
তালুতে যেন হাতুড়ি পেটায়।
আমি ব্যথার প্রচন্ডতায় মাটিতে গড়াগড়ি খাই
বুকে চেঁপে ধরি পাথর।
জ্ঞানের সংবিধিতে কাঁদতে নিষেধ
বুদ্ধি এখানে নিয়ন্ত্রিত।
রক্ত আর লাশের স্তুপে
বিবেকের আত্মহত্যায়
ওদের রক্ত চোষণ আর মাংস লেহন
কিংবা বিকৃত উল্লাস বিধি সম্মত!
আমাদের চোখের শক্তিটুকু
ওদের পর্দায় বন্দি।
আমি নিরব কান্নায় অশ্রু হজম করি
আমি ওদের বিধিবদ্ধতায়
নিজেকে করেছি অথর্ব।
ওদের সভ্যতায়
নিজেকে করেছি উলঙ্গ!
ওদের বুদ্ধি ও বিদ্যায়
নিজেকে করেছি বিকলাঙ্গ।


এখানে-
প্রকৃতি ওদের প্রার্থনায় চলে
পৃথিবী যেন তার রূপ পাল্টায়
আমাদের দেখানো হয় ওদের চোখে!
আমরা দেখি ওদের দৃষ্টিতে
আমরা শুনি ওদের শ্রুতিতে
কথা বলি ওদের রসনায়
চিন্তা করি ওদের মন ও মগজে!
এখানে আর আমি, আমি নেই
ওদের মাঝেই হয়েছি লীন।


এখানে আজ সবকিছু
সংবিধিতে বিধিবদ্ধতায়।
সবকিছু বৈধতায়
রক্ত ঝরে, লাশ পড়ে
যা কিছু ধ্বংস,
সব অনিবার্য কারণবশত!


---উদাসকবি