সময়ের গতিতে ছুটতে গিয়ে, জীবনের মূল্য দিয়েছি কম।
পদ্মার বুকে শোকের মাতম, চিত্রটা পাল্টায় নি একদম!!


ডুবছে লঞ্চ, মরছে মানুষ; ঝরছে জীবনের পাতা
লাশের সংখ্যায় গড়মিল রেখে বন্ধ কবিতার খাতা।
কে চড়ায় আর কে চড়ে; কেউ রাখে না তার খবর
কার ঘাড়ে জীবনের বোঝা, কে খুঁড়ছে তার কবর।


কত জল ঘোলা হয়, ঘোলা জলে নামে কেউ
কারো পায় হাসি, কাউকে কাঁদায় পদ্মার ঢেউ।
যে চড়েছে পরের কাঁধে, তার ঘাড়েই আমরা চড়ি
একটা কড়ি কামাতে গিয়ে খরচ করি দশটা কড়ি।


ধূলাবালি জীবনে ভোরের শুভ্রতা,   কোটালের ছবক
হারানো ব্যদনায় রঙ-তামাশা, উদাসিন কবিতার ছক!


(খসড়াটা পুরাতন, ধারাটা একই
তারপরও কবিতাটা নতুন
প্রথমে আপ্লুত হবো
অশ্রু ঝরাবো
তারপর ভুলে যাবো
আবারো আরেকটি কাব্যের সূচনা হবে একই খসড়ায়!
বিচিত্র মনুষ্য জীবন।)
................................. (উদাস কবি)
                                     ২৪ শ্রাবণ ১৪২১...............