বিভা ছাত্রাবাস,মির্জাপুর। রুমে বসে আছি- পিয়ন মামা একটা চিঠি ধরিয়ে দিলেন। রংপুর থেকে কেউ একজন আমার কাছে পত্র লিখেছে। রংপুরে আমার কেউ পরিচিত নেই। তাই একটু অবাকই হলাম। খামটা খুলে চিঠিটা বের করে পড়তে লাগলাম। লেখা সংক্ষিপ্ত। সারমর্ম হলো, কেউ একজন পত্র-মিতালী খুঁজছেন, তার ইচ্ছা আমার সাথে কলম-বন্ধুত্ব করার। আমি যদি রাজি থাকি তাহলে সে আমার সাথে পত্রমিতালী করবে। তার নাম কান্তম হাসান কান্তা। রংপুর কারমাইকেল কলেজে অনার্স পড়ছে। আমি ভাবলাম, করলে অসুবিধা কী? না হয় চিঠি প্রতি ২টাকা খরচ হবে। এভাবেই ওর সাথে আমার পত্রমিতালী শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহে একটা অথবা দুই সপ্তাহে একটা করে পত্র আদান প্রদান হতো। এভাবে এক বছরের উপর কেটে যায়।
তারপর এলো মোবাইলের যুগ। কথাও হলো। ওর নিজস্ব সেট না থাকাতে মেসে এনে (মোবাইলের দোকান থেকে) কথা বলত আমার সাথে। তাতে কথা বলাটা অনিয়মিত হত। এদিকে পত্র লেখাও ভাটা পড়ে। তারপর এক সময় হারিয়ে যায়....
অনেকদিন হয়ে গেছে। জানি না ও এখন কী করছে! ফেসবুকে অনেককে খুঁজে পেলেও নীলফামারীর কান্তম হাসান কান্তা নামক কাউকে পাই নি। হয়তো এক সময় পেতেও পারি। দুনিয়াটা যে বড্ড ছোট হয়ে গেছে।