গোলাগুলির প্রচন্ড শব্দ, কানের ছিদ্র দিয়ে বুকের স্পন্দনে
গভীরে আরো গভীরে, কলিজার ভিতরে
বুলেটের আঘাতটা হৃদপিন্ডের মাঝে
ছিন্নভিন্ন আর রক্তাক্ত
থেমে যায় লৌকিকতায়, আরক্ত বুকে।
আমি তাতে মারা যাই না, ভেসে উঠি
কষ্ট সাগর পারে।


একটি যুদ্ধ চলছে
দিন-রাতে সব সময়, শান্তিটা কাছাকাছি নেই.
বোমাগুলো প্রায় রাতে আমার মাথায় পড়ে
মগজে আর খুলির ভিতরে
ফুটতে থাকে মগজের ছিন্ন টুকরোগুলো।
আপনাকে জাগ্রত রাখে বিভীষিকায়
আপনার প্রতি আঘাত ফিরে ফিরে আসে
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে প্রতিটি কোষে
নরকের কৃষ্ণাগ্নির স্ফুলিঙ্গ তেড়ে আসে
শিরায় শিরায়, মস্তিষ্কের কোষে
আমি যদিও মারা যাই না ... বেঁচে উঠি ক্ষণে ক্ষণে-


যুদ্ধটা আপনার হৃদয়ে
যুদ্ধটা আমার বুকের গভীরে
ক্ষত বিভিষীকাময় এবং আরোগ্যতার যোগ্য না
পীড়ন আর অস্বস্তির ঘা
উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার তাড়া।
শিরায় শিরায়
এখানে কেউ মরে না
ক্ষণে ক্ষণে প্রাণ পায়
নিস্তেজ হৃদয়ে।


এই যুদ্ধটা আমার মনে
আশঙ্কায় আর ক্ষুব্ধতায়
যুদ্ধ হয় নিত্যের ব্যাকুলতায়
এখানে আমিই শত্রু
প্রতিপক্ষ আমার নিয়তী
আমার দূর্ভাগ্যের চক্রবৃত্ত।
আমি যুদ্ধে মারা যাই না ... বেঁচে থাকি.


যুদ্ধ শেষ হয় না, নিত্য বারুদ জ্বলে
আমি জানি, আগে যুদ্ধ ছিল ...
মনে হয় না কখনো শেষ হয়ে যাবে ..
আমার চোখ বন্ধ!
আমার আত্মার সমুদ্রে রক্তের ঢেউ
প্রবাহমান কান্নার ধারা,আত্মায় অবিরাম


লড়াইটা সর্বদা বুকের গভীরে
লড়াইটা বেঁচে থাকার তাগিদে
জীবনের পথে আর নিয়তির সাথে।


প্রাণের স্পন্দন হারিয়ে যায়
জীবনের উন্মেষ স্তব্ধতায়
থেমে যায় সব কোলাহল
মন আর মানবের।
তবুও কখনো মৃত্যু হয় না
বেঁচে থাকি, বাস করি যুদ্ধের সাথে


আমি এখন বোমাগুলো গিলে খাই
বুলেটের সীসা আর.....
গ্রেনেডের স্পিন্টারে
জীবনের আলো পাই,
ভালবাসা খুজে পাই।
আমি আর অন্ধকারে  ভীত হই না.
জানি এখন,যন্ত্রণাকে  চিরতরে জ্বালানো যাবে না
আমিও মরব না,
বেঁচে থাকব তুষের আগুনের মতো
ক্লেশ সাগরে থাকব ভেসে
হৃদ-যাতনার লড়াইয়ের ময়দানে
মরব যতবার, বেঁচে উঠব ততবার।