সূর্যটা এখানে ডানপাশ দিয়ে চলে
বাঁ পাশ অস্তগামীর পথ।
কখনো তাকে মাথার উপরে আসতে দেখি নি
কখনো তাকে এখানে জ্বলতে দেখি নি
ডানপাশ হেলে চলে, বিকির্ণ আলোকচ্ছটায়
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি
মায়াময় আলোর সাথে।
পাতা ঝরা গাছের শাখায় শাখায়
মর্মরে বেজে উঠা কষ্টের সুরারোপিত পিয়ানোটা
শালবনের শালে, লাল গুল্মের লতিকায়
অবাক চোখে উর্দ্ধাকাশ দেখা।
কৃত্রিম ঝর্ণাটা জেগে উঠে মানুষের আগমনে
বিশ্রামাগারের পাশে শুয়ে থাকা নিত্য মানুষেরা
পশু আর মনুষ্যে কোনো ফারাক খুজে না কেউ
আকাশ আর মাটির তফাত বুঝে না কেউ কোনোদিন
এখানে আলো আর ছায়ার প্রভেদ
সকাল আর বিকেলের দূরত্ব
মানবতা আর সভ্যতার নেই কোনো বিভেদ।


এখানে বেঞ্চির সাথে দোলনাটায়, অবাক চোখে
রোজ দোল খাওয়াটা দেখি
প্রতিদিন একই সময়, বিকেলের শেষ রশ্মির আভায়
ওর রাঙা ঠোঁটে রক্তের লালিমা মেশানো
প্রতিদিন দেখি, অবাক চোখে
সন্ধ্যার পর, নিশ্চুপ বসে থাকা
আমি প্রভাহীন আলোয় ওকে দেখি
জীবনের প্রতি চরম ঘৃণা
পৃথিবীর প্রতি চরম বিদ্বেষ
চাহিদার প্রতি হতাশায়
সময়ের প্রতি অবহেলায়
নিষ্ঠুর অভিনয়ে চলা চাহিদার পথে-
এক সময়ে চলে যায় নতুন খদ্দেরের সাথে
আমি উঠে আসি, আগামীকালের প্রত্যাশায়
কেন প্রতিদিন ওর আকষর্ণে ছুটে যাই?
ভালবাসায় না করূণার অবয়বে, ওকে আমি দেখি?
তারপরও যাই নিশি পথিকের বেশে
তুবড়ে ফেলে ঘৃণিত সময়, আশ্রিত জীবনের ছায়া ধরে
ভালবাসা আর করুণা যাই হোক
সত্যিটা হলো, ভাল লাগা!
এখানে সামাজিকতা নেই
এখানে সভ্যতা আধারে ঢাকা
এখানে মনুষ্য স্থবিরতায়
আইনের বিকলাঙ্গতায়
নিষ্ঠুর সময়ের অতিক্রম।
অবাক পৃথিবী, অবাক সময়
ভালবাসা শুধু বন্দিত্বে
ভালবাসাটাই বিস্ময়!