দম বন্ধ হয়ে আসে, আশেপাশে তাকিয়ে
পালানোর পথ খুজে পাই না, মনে হয় চারপাশ-
বদ্ধ গোমড় পরিবেশ। গলার রগটা ধরে
রাগের রিখটার স্কেলটা নিচের স্তরে নামাই।
এদিক ওদিক তাকিয়ে বিকট নিশ্বাসে
দম ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করি, পারি না নিতে ভার
পারি না সইতে অর্ন্তজালের ফাঁসের পীড়া।
ইস্ক্রুপটা টাইট দিয়েছি বল্টুটা খুলে ফেলে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনি মগজের পারদে!
দুমড়ে মুচড়ে পৃথিবীটা ধরে ডান হাতের মুঠি ভরে
ইচ্ছে করে, ছুঁড়ে ফেলি সৌরজগতের বাইরে
অন্য নক্ষত্রের পানে, সবচেয়ে ভাল হয়-
অন্ধকারের কোনো নক্ষত্রের পরিক্রমায়।
ঘুরতে থাক তার আপন ইচ্ছায়, এই বলয়ের বাইরে।
তালুতে ভরে ইচ্ছেমত টিপতে থাকি
আমার সাজানো পৃথিবীকে দলিত মলিত করি
উল্টে পাল্টে দেখি; তছনছ করি ধ্বংশের নেশায়!
শুকনো পথে ঢেলে দিয়ে কড়ালের জল
ছুটে যেতে চায় মন নক্ষত্রের টানে প্রলয়ের আহ্বানে
সোনালি সময়ের স্বপ্নগুলো আর আসে না ঘুমে
বারবার উঁকি মারে হুল ফুটানোর পীড়া।
সংকীর্ণ জগতের বাইরে, সময়ের পরিক্রমা ধরে
আজ ছুটে গিয়ে বাঁচতে চায় মন, সৌরের বাইরে।
শেষ সুযোগ! পারো যদি মন ধরে ফেল-
সময়ের শেষ ট্রেনের বগিটা। টিকিটের দাম
মিটাবে পরে, ক্লান্তি পথের শেষ সীমায়।