রূপালি চাঁদের মায়াবী হাসি আজ বড় ম্লান, নিস্প্রাণ
স্নিগ্ধ সুবাসিত তার ছড়ানো আলো
আজ বড় খসখসে মনে হয়! প্লাবিত ধারা তার বড্ড কড়কড়ে-
আকাশের সম্মুখ পানে- বিস্তৃত অবারিত শৃন্যতা
আজ বড় শৃঙ্খলিত। তার বাঁকানো লোহার আংটে
স্যাঁতস্যাতে আর শেওলা জড়ানো।
চারপাশ এতো খোলামেলা, তারপরও মনে হয়
আমি বুঝি বন্দি, পৃথিবী আমার কারাগার!
উন্মুক্ত মহাশুন্য আজ আমার গলার ফাঁস
স্বাধীন নামে হাত- পাগুলো শৃঙ্খলিত
-নিয়তীর যাঁতাকলে।
রিক্ত সিক্ত বিষ্পাপ জড়ানো মুখোশে ঢাকা আমার অবয়ব
এত যে মধুর প্রীতির টান, তাও বদ্ধ কলেবরে।
উড়ন্ত প্রজাপতি দেখে হিংসে হয়
রং ফড়িং আর ঘাস ফড়িং-এ হিংসে হয়
পাখিদের ডানা মেলে
পতংগের ঊড়ে বেড়ানো দেখে কষ্ট হয়।
আমি উড়তে চাই, বাঁচতে চাই-
সংস্কার আর নিয়মের বাইরে
নিয়তী আর সময়ের উর্দ্ধে
কষ্ট আর জড়তার বাইরে
পৃথিবী আর নক্ষত্রের আবর্তে
উদারতা আর ইচ্ছেশক্তির সাথে।
চারপাশের স্থুলতা আর জড়তার বেড়া ছিন্ন করে
আপেক্ষিক আর বিকর্ষণের উল্টো ধারায়
ডানাহীন উড়ন্ত মানব-সসার
না-হোক। তবুও চাই; বারবার-


আমি ছুটতে চাই, বাঁচতে চাই-
সংস্কার আর নিয়মের বাইরে
নিয়তী আর সময়ের উর্দ্ধে
কষ্ট আর জড়তার বাইরে
পৃথিবী আর নক্ষত্রের আবর্তে
উদারতা আর ইচ্ছেশক্তির সাথে।


××××××××× শানে শের:............
একজন বাংলাদেশি, দেশি ভাইয়ের প্ররোচনায় জীবনের তার; তার পরিবারের সঞ্চিত সব দিয়ে যখন ইউরোপে আসে সোনালি হাঁসের সন্ধানে। আর এসে দেখে সব মরিচীকা। সামনে সোনা নয় শুধুই বালি-কণা। একে নেই বৈধতার কাগজ, তারউপর নিত্য ব্যয়ের সামান। তার দু চোখে কী অন্ধকার; এই যেমন এখন আমার......................................................